পাবনা জেলার সুজানগরের গ্রামের নারীদের অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করতে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ দিবে ‘অনিন্দিত নারী’। দেশের সুবিধা বঞ্চিত ও করোনায় কর্মহারানো নারীদের স্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে সম্ভাবনার অনিন্দিত নারী প্রকল্প।

সম্প্রতি স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে যাত্রা শুরু করেছে অনিন্দিত নারীর দ্বিতীয় শাখা।

করোনা এই অতিমারিতে আর্থিক লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে অনেক প্রতিষ্ঠান ও অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কর্মী ছাঁটাই কারণে ও ব্যবসায় মূলধন হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পরছে মানুষ।

এর ফলে মধ্যবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো অর্থনৈতিক বির্পযয়ের মুখে পরছে। পরিবারের এই সংকটের সময়ে ঝুকির মুখে পরেছে শিশুদের ভবিষ্যৎ। স্কুল ঝরে পরার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে শিশুশ্রমের প্রবণতা বাড়ছে। খাদ্য সহায়তা জরুরি প্রয়োজন মেটাতে পারলেও এসব পরিবারের সমস্যার স্থায়ী সমাধান দিতে পারছেনা।

সুবিধা বঞ্চিত ও করোনায় কর্মহারানো নারীদের স্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিশুদের নিশ্চিত ভবিষ্যতের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সম্ভাবনার “অনিন্দিত নারী” প্রকল্প।

অনিন্দিত নারী প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে তিনশতাধিক নারীকে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ ও হস্ত শিল্প প্রশিক্ষণ প্রদান করার এর পাশাপাশি “আমার ঘর, আমার কারখানা” কার্যক্রমের মাধ্যমে নারীদের নিজের ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এই সকল নারীদের মাধ্যমে একটি কর্মী কমিউনিটি গড়ে দেশীয় পণ্যের শক্ত ভীত গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে সম্ভাবনা। যার মাধ্যমে দুর্যোগকালীন এই সময়ে পরিবারকে নিয়ে নিরাপদে নিজের ঘরে বসেই কাজ করবে কর্মীরা একই সাথে হবে অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী।

এই প্রকল্পের অংশ হিসাবে ইতোমধ্যে সম্ভাবনা দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করেছে ঢাকার মিরপুরে ও পাবনা জেলার, সুজানগর উপজেলার, ভবানীপুর গ্রামে। দুটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ বছরে দুইশতাধিক নারীকে সেলাই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

এ প্রসঙ্গে সম্ভাবনার সহ প্রতিষ্ঠাতা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘স্বাধীনতার সুর্বণজয়ন্তীকে উদযাপন করতে অনিন্দিত নারী প্রকল্পে নতুন মাত্রা যোগ করেছি আমরা। এখন থেকে ঢাকা পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কাছে পৌছাতে চায় সম্ভাবনা আমাদের লক্ষ্য “অনিন্দিত নারী’’ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের হতদরিদ্র সুবিধা বঞ্চিত নারীদের স্বাবলম্বী করা এবং হতদরিদ্র পরিবারের শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য গুলো পূরণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের বিশ্বাস সবাই মিলে চেষ্টা করলে আমাদের দেশে দারিদ্র বিমোচন সম্ভব।’

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here