তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের সন্ধান করে এনে তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পারি তাহলে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে তারা আরও বেশি উৎসাহী হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের রেঁনেসা হোটেলে আয়োজিত বাংলালিংক আইটি ইনকিউবেটরের তৃতীয় আসরে গালা নাইটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

দেশের প্রতিভাবান উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা ও প্রাথমিক পর্যায়ের সম্ভাবনাময় স্টার্টআপগুলির পরিচর্যার লক্ষ্যে বাংল লিংক ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথোরিটি
(বিএইচটিপিএ)-এর যৌথ উদ্যোগ বাংলালিংক আইটি ইনকিউবেটর-এর তৃতীয় আসরে গালা নাইটের আয়োজন করে।

জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, কঠোর পরিশ্রম ও উদ্ভাবনী প্রয়াসের মাধ্যমে যে প্রতিভাবান তরুণ উদ্যোক্তারা এই পর্যায়ে পৌঁছেছে তাদের মাঝে এসে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা যদি এই সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের সন্ধান করে এনে তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পারি তাহলে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে তারা আরও বেশি উৎসাহী হবে।

তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সঠিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য বাংলালিংক ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথােরিটির সহকর্মীরা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।

বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) এরিক অস বলেন, প্রয়ােজনীয় নির্দেশনা ও সহযােগিতা পেলে এই সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোক্তারা সমৃদ্ধশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখতে পারবে। অনেক আগ্রহী উদ্যোক্তাকে তাদের নিজ নিজ উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করার মাধ্যমে বাংলালিংক আইটি ইনকিউবেটর ইতােমধ্যে একটি দৃষ্টান্তমূলক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে বাংলালিংক ভবিষ্যতেও সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের সহযােগিতা করে যাবে।

আয়োজকরা জানান, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও ইন্টারন্যাশনাল টেলি কমিউনিকেশন ইউনিয়নের সেক্রেটারি জেনারেল হওলিন ঝাও আইটি ইনকিউবেটর উদ্বোধন করেন। গত দুই বারের আয়ােজনে মােট ১৬টি স্টার্টআপকে সহায়তা প্রদান করেছে বাংলালিংক আইটি ইনকিউবেটর।

গত বছরের নভেম্বরে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর বহু সংখ্যক ডিজিউাল স্টার্টআপ অনলাইন সাবমিশনের মাধ্যমে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।

স্টার্টআপগুলির ভিজিটাল পরিকল্পনার অভিনবত্ব, পরিসর পরিবর্তনযােগ্যতা ও কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে মোট ৭টি স্টার্টআপকে নির্বাচন করা হয়।

এই ৭টি স্টার্টআপ হলাে সেভ আপ লিমিটেড, কারুকথা সফটওয়্যার, ঘটান, এএনটিটি রোবোটিক্স, মেসবুক, অফশাের ও বুকশিওনারিডটকম।

জনতা ও আইটি ইনকিউবেটরে স্টার্টআপগুলি অবকাঠামো, উপকরণ ও প্রশিক্ষণ পাবে।

স্টার্টআপগুলি যথাক্রমে ডিসকাউন্ট ভিত্তিক ডিজিটাল ডিরেক্টরি, কারুশিল্পীদের জন্য ই-কমার্স, ইভেন্ট ব্যবস্থাপনায় দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্লাটফর্ম, এসটিইএম প্রশিক্ষণ,  ছাত্র/অবিবাহিতদের জন্য বাসস্থান ব্যবস্থাপনা, ভ্রমণকারী ও ক্রেতাদের সংযুক্তকারী ই-কমার্স ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে বই বিনিময় নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

আইটি ইনকিউবেটর বাংলালিংক-এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের ফ্ল্যাগশিপ কর্পোরেট রেসপন্সিবিলিটি গ্রোগ্রাম ‘মেক ইওর মাক’-এর অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বের যেসব স্থান ভিওনের কার্যক্রমের আওতাধীন সেসব স্থানের আইটি খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

অনুষ্ঠানটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল ইসলাম, বাংলালিংকের চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথােরিটি-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হােসনে আরা বেগমসহ অন্যান্যরা।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here