যারা বসে বসে অপেক্ষা করে সফলতার, তাদের কখনও সফলতা আসে না। এটি আসে সেই লোকদের কাছে যারা এটি চায় এবং কাজ করে। কোনও কিছুতে দক্ষ হওয়া অবশ্য সফলতার গ্যারান্টি দেয় না তবে বেশ ব্যর্থ হয়েও নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার ফলে সফলতা আসে। এমনই সোফিয়া আমোরুসো গল্প। আসুন জেনে নেই তার গল্পটিঃ

সোফিয়া ক্যালিফোর্নিয়ার সান দিয়েগোতে ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। হতাশাগ্রস্থ এবং অমনোযোগী হওয়ার জন্য স্কুল ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায় যখন তার বাবা ও মা দুজনই চাকরি হারিয়ে ফেলেন।

মাত্র নয় বছর বয়সে নিজেই একটি লেমুনেডের দোকান খুলেন। ২২ বছর বয়সের আগেই তিনি ১০ টি বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল।

অল্প বয়সী মেয়ে হিসাবে সোফিয়া যাযাবর জীবনযাপন করতেন, পশ্চিম উপকূলে চুরিও করতেন। ২০০৩ সালে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন এবং জরিমানা দিয়ে তাকে নিয়ে ছাড়িয়ে আনতে হয়। এরপরে তিনি এই জীবনযাত্রা ছেড়ে চলে আসেন সান ফ্রান্সিসকোতে।

সেই সময়েই তিনি একটি ইবে স্টোর খুললেন। সোফিয়া বিভিন্ন পুরাতন পোশাক সংগ্রহ করতেন এবং সেগুলো কম দামে বিক্রি করতেন। এতে  প্রায় ৬৪ হাজার ৩৯৫ টাকা বিক্রি হয়েছিল। তিনি এই পোশাকগুলো ছড়িয়ে দিতে মাইস্পেস এবং পরবর্তীকালে ফেসবুক মাধ্যম ব্যবহার করেছিলেন।

তবে ২০০৮ সালে, ইবেতে তার জনপ্রিয় অ্যাকাউন্টটি নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচারের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাঁচ বছরের পুরো পরিশ্রমটা তখন নর্দমায় চলে যায়।

যাইহোক, সোফিয়া ইবে থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেই দোকান স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি কিছু কর্মচারী নিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে নিজের খুচরা বিক্রয় শুরু করেন। তার এই উদ্যোগটি খ্যাতি অর্জন করে এবং অনেক বিনিয়োগকারী তার কাছে এসেছিলেন বিনিয়োগ করতে। তিনি ৩হাজার ১৫২ কোটি টাকা মূল্যের তহবিল উত্থাপন করেন।

২০১২ সালে তার প্রতিষ্ঠানের মূল্য গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৮শ ১কোটি টাকা। ফলে ফোর্বস ম্যাগাজিনে শীর্ষ  ধনী মহিলাদের তালিকায় তার নামটি উঠে আসে।

তিনি বিশ্বকে দেখিয়েছেন যে সফল হওয়ার জন্য কাউকে নিখুঁত হতে হয় না। পরিশ্রমই সফলতার মূলমন্ত্র।

 

হৃদয় সম্রাট 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here