শুরু ৬ হাজার দিয়ে বর্তমানে বিক্রি আড়াই লাখ টাকা

0
উদ্যোক্তা উম্মে তামিমা

মাত্র ছয় হাজার টাকা দিয়ে অর্গানিক পণ্য গ্রাহকের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার যে প্রত্যয় নিয়েছিলেন উদ্যোক্তা উম্মে তামিমা নুপুর আজ সেটা পূরণ হয়েছে। বর্তমানে তার ‘কোকোনাট অয়েল কেয়ার বিডি’ প্রতি মাসে বিক্রি করছে কমপক্ষে আড়াই লাখ টাকার পণ্য।

উদ্যোক্তা উম্মে তামিমার অর্গানিক সকল পণ্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) অনুমোদনপ্রাপ্ত। খুব শীগগিরই নিজেদের নিজস্ব শোরুম করার ইচ্ছা। রাজধানীসহ চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালে তার শোরুম রয়েছে।

তামিমা নুপুরের দ্বীপজেলা ভোলায় জন্ম ও বেড়ে উঠা ভোলায়। বাবা মায়ের খুব আদরের মেয়ে আর ছোট দুই ভাইয়ের খুব আদরের ছোটবোন। বাবা সাব রেজিস্টার আর মা গৃহিণী।

নারিকেল তেল নিয়ে কাজ করার ইচ্ছার কথা জানতে চাইলে তামিমা উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ‘ভোলায় প্রচুর নারিকেল গাছ আছে।আর মা ছোটবেলা থেকেই উদ্যোক্তা নুপুরের খুব চুলের যত্ন নিতেন।মায়ের হাতে বানানো নারিকেল তেল যেটা পরিবারের মেয়েদের চুলের যত্নে মা ব্যবহার করতেন।সেই সাথে সাথে স্পেশাল হেয়ার প্যাক। এভাবেই হেয়ার প্যাক নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা তৈরি হয়।’অর্গানিক পণ্য তৈরি করার কোন কোর্স করা ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উদ্যোক্তা বলেন, ‘আমার বাবার ভোলাতে একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ছিল।সেখানে উদ্যোক্তার প্যারা মেডিকেল কোর্স করার পর ল্যাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়।ল্যাবে কাজ করার এই অভিজ্ঞতা আমাকে অর্গানিক পণ্য তৈরিতে আগ্রহী করে তোলে।’

২০১৫ সালে একটা ফেসবুকে পেজ খুলে শুধু একটা পোস্ট দিতেই ১০ বোতল তেল সেল হয়ে যায়।তখন উদ্যোক্তা মনে করলেন খাঁটি পণ্য যেহেতু অনেকে খুব পছন্দ করছেন তাই তার সেভাবে এগিয়ে যাওয়া দরকার। নতুন করে ফেইসবুক পেইজ খুললেন যার নাম দিলেন ‘কোকোনাট অয়েল কেয়ার বিডি’।

তিনি বলেন, ‘‘প্রথম দিকে তিনটি পণ্য ছিল শুধু অর্গানিক কোকোনাট হেয়ার অয়েল, মিরাকেল হারবাল অয়েল, হেয়ার প্রোটিন প্যাক। মিরাকেল হারবাল অয়েল সবাই অনেক বেশী পছন্দ করছেন। এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে আরও কিছু পণ্য হারবাল শ্যাম্পু, ফেইসপ্যাক, রোজ ওয়াটার, লিপ বাম, হেয়ার স্পা, বডি গ্লো প্যাক। সবগুলো পণ্য ক্রেতারা খুব পছন্দ করছেন।’’

মাত্র ছয় হাজার টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু যে উদ্যোগের সেখানে বর্তমানে প্রতি মাসে বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার পণ্য।

উদ্যোক্তা তামিমা বলেন, ‘শুরুতে আমি ও আমার স্বামী নারিকেল কোড়ানো থেকে শুরু করে তেল বানানো, প্যাকেজিং সব নিজে হাতে করতাম। কিন্তু চাহিদা এখন অনেক বেশী তাই মহাখালীর অফিসে দুইটা মেশিন বসিয়েছেন এবং পাঁচ জন কর্মী নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ক্রেতাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছেন।’

উদ্যোক্তা জানালেন, উদ্যোক্তা হবার পথে তিনি শ্বশুরবাড়ির সকলের সুবিধা পেয়েছেন পাশাপাশি কাজের সহায়ক ছিলেন স্বামী।

নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যে কাজটা শুরু করবেন অবশ্যই পিছপা হওয়া যাবে না। সেটা নিয়েই এগিয়ে যাওয়া উচিত।’

মাসুমা শারমিন সুমি
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here