নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো খাদ্য উৎসব, যেখানে ছিলো ২৪ টি বিভিন্ন পদের বৈচিত্র্যময় খাবার স্টলের সম্ভার।
নারায়ণগঞ্জের ফুড ফেস্টিভ্যালে কিছু নবীন উদ্যোক্তা ছিলেন যারা শুধু প্লেটে খাবার-ই পরিবেশন করেননি, সঙ্গে দিয়েছেন অন্য রকম কিছু ধারণাও। যেখানে তারা নতুনত্বভাবে পরিবেশন করেন একটা ভিশন, একটি আইডিয়াও।
নারায়ণগঞ্জের এই নবীন উদ্যোক্তারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতা মেনে নানা গুণগত খাবারের সঙ্গে বেশ কিছু অন্য রকম ধারণাও রাখেন খাদ্যরসিকদের সামনে। এমনই এক পরিবেশ ছিলো নারায়ণগঞ্জের ফুড ফেস্টিভ্যালে যেখানে বসে খাদ্যপ্রেমীরা আয়েস করে উপভোগ করেছেন নানা রকমের কন্টিনেন্টাল, মেক্সিকান, চাইনিজ, আমেরিকান আইটেম। যা পাওয়া গেছে এদের নিজস্ব স্টাইলে। ছিলো শিক কাবাব, প্যান ফ্রায়েড, প্রন ফিশ, ফিশ টিক্কা। খাবারের শেষ আয়োজনে ছিলো মিষ্টি দই, গুলাব জামুন সঙ্গে রাবরি কিংবা আকর্ষণীয় পেস্ট্রি।
কথায় বলে ‘উদর পূর্তিতেই মনে ফূর্তি আসে’। আর তাই খাদ্যরসিক বাঙালি তথা বাংলাদেশের মানুষের মনে ফূর্তি আনতে একেবারে ঝালে-ঝোলে-বাহারি খাবারের আয়োজন ছিলো ১৩ জন নবীন নারী উদ্যোক্তার আয়োজনের এই ফুড ফেস্টিভ্যালে। উদ্যোক্তারা তাদের ঘরে তৈরি বাহারি খাবার প্রদর্শন ও বিক্রি করেছেন আজকের এই ফুড ফেস্টিভ্যালে।
নারায়ণগঞ্জের এই ফুড ফেস্টিভ্যালে শুধু বসে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়াই নয়, ছিলো অর্ডার অনুযায়ী ভালো খাবার অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে বাড়িতে পৌছে দেয়ার সুব্যবস্থাও। এছাড়া ছিলো পছন্দসই জীবিত মাছের লোভনীয় আইটেম যা কিনা সেই মুহুর্তে তৎক্ষণাৎ ওভেনে অথবা চুলার ভাঁপে আস্ত ইলিশ মাছ রান্না করে খাওয়ারও সুযোগ।
সকালের খাবার থেকে শুরু করে দুপুরের ভরপেট মনোরম বৈচিত্র্যময় খাবার, তারপর বিকেলে ক্লান্তির অবকাশে চা-কফি থেকে সন্ধ্যায় আড্ডার আমেজ জমাতে ফিস এন্ড চিপস সবই ছিলো আজকের নারায়ণগঞ্জের ফুড ফেস্টিভ্যালে। আজকের এই উৎসব আয়োজনের প্রবেশ ছিলো জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।
আয়োজনের আহবায়ক উদ্যোক্তা জান্নাত সুলতানা জানান, ‘যে কেউ অংশ নিতে পেরেছে এই মজাদার খাবারের ফুড ফেস্টিভ্যালে। তাছাড়া আজকের এই খাদ্য মেলায় অবশ্যই ক্রেতাদের পছন্দ ও অপছন্দের দিকেও সদা সতর্ক নজর রাখা হয়েছে। আর এই প্রতিযোগীতামূলক বাজারেও খাদ্যপ্রেমিক জনসাধারণের কথা মাথায় রেখে প্রত্যেকটি খাবারের দামও ধার্য্য করা হয়েছে সঠিক ও গ্রহণযোগ্য মাত্রায়’।
১৩ জন নারী উদ্যোক্তা আছেন এই ইভেন্টের আয়োজক দলে। তারা হলেন- জান্নাত সুলতানা, তীর্থ খায়ের সিথী, রুনা আহমাদ, মাহমুদা রানী, উম্মে সালমা সুচনা, ফিওনা দাস কনিকা, মমতাজ বেগম, ফারজানা হোসাইন ইভা, নুসরাত ফারজানা, সাবিনা ইয়াসমিন, জান্নাতুল ফেরদৌস,সুমাইয়া সুমু ও ফারহানা খান।
খাবার ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধন যে সুনিপুণ সম্পর্ক তৈরী করে তার প্রমাণ আজকের এই সফল নারায়ণগঞ্জের ফুড ফেস্টিভ্যাল। সুস্বাদু খাবার খেতে খেতে সেই খাবারের ইতিহাস জানতে পারার অভিজ্ঞতা ছিলো বেশ চমৎকার। খাবার টেবিলেই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মানুষগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দৃঢ় হয়। বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবনের নানা দিক ও দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানা যায়।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা
আলহামদুলিল্লাহ
চমৎকার একটি আয়োজন ছিল।আমাদের সব আয়োজকদের কঠোর পরিশ্রমে সফল একটি ইভেন্ট শেষ হল।আর জান্নাত আপুর জন্য অনেক দোয়া রইল।
উদ্দ্যোক্তা বার্তাকে ও পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।