প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরকে সামনে রেখে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এম.পি’র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
রাজধানীর মতিঝিলে শিল্পমন্ত্রীর অফিসকক্ষে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানের সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শেখ ফয়েজুল আমিন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান শাহ মো: ইমদাদুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও মো: আব্দুল ওয়াহেদ, উপসচিব মো: মোমিনুর রশীদ এবং ঢাকাস্থ জাপানী দূতাবাসের অর্থনীতি বিষয়ক প্রথম সচিব আজুমায়া কেনজি উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী জাপানের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শিল্পায়নে জাপান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সেসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফরে জাপানী ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাথে বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ সংক্রান্ত সহযোগিতা স্মারক বিষয়ে আলোচনা হয়।
আগামী ২৯ ও ৩০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের কথা রয়েছে।
তার আগে শিল্পমন্ত্রীর সঙ্গে এ সাক্ষাতে জাপানী রাষ্ট্রদূত বলেন, দি হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দি সেফ এন্ড এনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রিসাইক্লিং অব শিপস, ২০০৯ (দি হংকং কনভেনশন) এর শর্তসমূহ প্রতিপালনের জন্য জাপান সম্ভাব্য সব রকমভাবে বাংলাদেশকে সাহায্য করবে। তিনি জাহাজ পুন:প্রক্রিয়াজাতকরণ ফ্যাসিলিটিজ অর্থাৎ ট্রিটমেন্ট, স্টোরেজ অ্যান্ড ডিসপোজাল ফ্যাসিলিটি স্থাপনের জন্য চট্টগ্রামের মিরেশ্বরাই ও সীতাকুণ্ড এলাকার একাধিক বিকল্প প্রস্তাব তুলে ধরেন।
শিল্পমন্ত্রী সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান। এছাড়া ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার আদলে আরেকটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের বিষয়েও আলোচনা হয়। জাপানী রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে জাপান সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা