শহুরে ব্যস্ত জীবনে স্বস্তি যোগ করেছে ফিস মার্ট

0
উদ্যোক্তা মোঃ মাহ্ফুজুল ইসলাম

রেডি টু কুক অর্থাৎ রান্নার জন্য প্রস্তুত।মাছের বাজারে যেয়ে নয় হাতে থাকা মুঠোফোনের বোতাম টিপে বা স্ক্রিনে টাচ করেই পছন্দের মাছ বা মাংস অর্ডার করা যায় এক নিমিষেই এবং পোহাতে হয় না মাছ- মাংস কাটা ধোয়ার ঝক্কি ঝামেলাও।ব্যতিক্রম এই উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন ফিস মার্টের স্বত্বাধিকারী মোঃ মাহ্ফুজুল ইসলাম। চাকরিজীবী নারী-পুরুষ-এর জন্য দিনশেষে এটি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার মত বিষয় বটে!

উদ্যোক্তা বলেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদী থেকে টাটকা মাছ সংগ্রহ করে ঢাকায় এনে ছোট, বড় সব ধরনের মাছ কেটে-বেছে পরিষ্কার করে মানসম্মত প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌছে দিচ্ছি। ফিশ মার্টের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন গড়ে দু’শ’র বেশি অর্ডার আসছে। এ ছাড়াও মুঠোফোন ও অ্যাপের মাধ্যমেও অর্ডার করছেন অনেকেই।’

রুই, কাতলা, ট্যাংরা, পুটি, দেশি কই, সোল, আইড়, চান্দা, পারশে, বাইম, টাকি, গলদা চিংড়ি, রুপচাঁদা, নদীর পাঁচমিশালি সহ নানা ধরনের মাছের পাশাপাশি ক্রেতাদের আবদারে ফিস মার্ট যুক্ত করেছে গরু, খাসি, হাঁস, মুরগী এবং ভেড়ার মাংস, পায়া, কলিজা, মগজ, বট ইত্যাদি।

মিনিমাম অর্ডার দুই কেজি এবং মাছ প্রসেসিং ও ডেলিভারির অতিরিক্ত কোনো চার্জ নেই । ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা সেইসাথে কোনো পণ্য ক্রেতার পছন্দ না হলে কোনো রকম শর্ত ছাড়াই বদলে নেয়ার সুযোগও রয়েছে । এছাড়াও নদীর ২০/২৫ কেজি ওজনের মাছ পুরোটা কেনা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। তাই এক কেজি/দুই কেজি কেনারও ব্যবস্থা রয়েছে ফিস মার্টে।

ব্যাতিক্রমধর্মী এমন উদ্যোগ গ্রহণের কারন জানতে চাইলে উদ্যোক্তা মাহ্ফুজুল ইসলাম বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই মাছ আমার সবচেয়ে পছন্দের খাবার বিশেষ করে ছোট মাছ। আমি নীলফামারীর সৈয়দপুরের ধলাগাছ মুন্সিপাড়া এলাকার সন্তান। পড়াশোনা সুবাদে ২০১২ সালে ঢাকাতে চলে আসি এবং মেসে বসবাস শুরু করি। মেসে বাজারের দায়িত্ব সবসময় নিজের কাঁধে নেওয়ার চেষ্টা করতাম যাতে পছন্দের ছোটমাছ গুলো কিনতে পারি। কিনতামও তবে মেসে রান্নার খালা ছোটমাছ কাটা বাছা করতে খুবই বিরক্ত হতেন। তাদের মূল সম্মানির থেকে কিছু অর্থ বেশি দিতে চাইলেও তারা ছোট মাছ কাটতে রাজি হতেন না বরং বারবার বললে কাজ ছেড়ে দিতেন। ঐ সময় আমি সিদ্ধান্ত নেই আমি রেডি টু কুক আইটেম নিয়ে কাজ শুরু করবো।

২০১৬ সালে আমার প্রতিষ্ঠান চালু করি তবে শুরতে অন্য নামে ছিলো। দু-তিন মাস পর আগের নাম পরিবর্তন করে ফিস মার্ট নাম দিয়েছি। উদ্যোক্তা হওয়ার পূর্বে আমি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেছি সেখান থেকে যে সম্মানি পেতাম তা দিয়ে মেসের খরচ, আমার হাত খরচের পর যা থাকতো সেটি জমিয়ে জমিয়ে যে পুঁজি দাড়িয়েছিলো সেটা দিয়েই আমার শুরু। আজ আমার সাথে চৌদ্দ জন সহযোদ্ধা কাজ করছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ফিস মার্টের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে এখন। আমরা বাইরে থেকে আধুনিক মেশিন ও এনেছি। সবটাই আমার ফিস মার্টের অর্থে।তিনি আরো বলেন,বর্তমানে ফিস মার্ট শুধু ঢাকা মেট্রোপলিটনে সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে তবে খুব শীঘ্রই দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে ফিস মার্টের শাখা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে এবং এই বছরের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রামে ফিস মার্টের শাখা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

তামান্না ইমাম,উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here