শরতের মুগ্ধতায় শেষ হলো ‘শরৎ মেঘের মেলা’

0

শরৎ হচ্ছে আকাশ ও মাটির মিলন। এক দিকে নীলাকাশ, আরেক দিকে কচি ফসলের দুরন্তপনা; এক দিকে সোনা রোদ, আরেক দিকে সবুজের কচি মুখ; সঙ্গে আকাশ ও মৃত্তিকার যে হৃদয়াবেগ, তা আমাদের হৃদয়কে নাড়া দিয়ে যায়। ইট কাঠের রাজধানীতে প্রাকৃতিক এ বিষয়গুলো দেখা না গেলেও শরতের মুগ্ধতা ছড়াতে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজন করা হয়েছিল দুই দিনব্যাপী ‘শরৎ মেঘের মেলা’ যা শুক্রবার শরতের আগুন আগুন লাগা সন্ধ্যায় জমে ওঠে এবং রাতের মোহনীয় মুগ্ধতায় শেষ হয়।

মেলাটির আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীসহ অন্য বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরা। তারা এই ‘চারুকলা’ ইভেন্টটা পরিচালনা করেন।

এই মেলায় দেশীয় সব রকম শাড়ি, গয়না, খাবার, মসলা, আচার, মধু, ব্যাগ, জুতা, খেলানা সামগ্রী, বই ইত্যাদি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন উদ্যোক্তারা।মেলায় দুপুরের পর পরই দর্শকদের লাইন দীর্ঘ হতে থাকে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ার পরিবার নিয়ে আসা মানুষের সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো, সন্ধ্যায় সেটা আরো দীর্ঘতর হয়।

শরতের বন্দনা মহাকবি কালিদাস গেয়েছেন : ‘প্রিয়তম আমার! ঐ চেয়ে দেখো, নববধূর ন্যায় সুসজ্জিত শরৎকাল সমাগত।’

মেলায় পণ্য কিনতে আসা আশরাফ খোকন উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, আমি গতকাল ফেসবুকে মেলার বিষয়টি দেখেছি, আজ আমার বান্ধবীর জন্মদিন। তাই দেশীয় গয়না কিনতেই এখানে আসা।

বেইলি রোড থেকে আগত সোহানা শারমীন উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ছুটির দিনে অনেকটা শখের বসেই এখানে আসা, এক ছাদের নীচে খাবার থেকে শুরু করে প্রায় সব কিছুই পাওয়া যাচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি শরৎ মেলায় এসেই স্টলে সুস্বাদু পিঠা খেয়েছি এবং বেশ কিছু হস্তশিল্পের পণ্য কিনেছি।

আয়োজকরা বলছেন আসলে এতো সল্প সময়ের মধ্যে এমন ইভেন্ট করা কষ্টসাধ্য, তারপরও দর্শক ও ক্রেতা সমাগমে আমরা আনন্দিত। ভবিষ্যতে আমরা উদ্যোক্তাদের নিয়ে আরো বড় ইভেন্ট আয়োজন করব।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ নম্বরের মাইডাস সেন্টারে দুইদিন ব্যাপী ২৯ জন উদ্যোক্তাদের নিয়ে ‘শরৎ মেঘের মেলা’ শুরু হয়।

হৃদয় সম্রাট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here