রামু উপজেলার ‘অরণ্য’র ড্রাগন

0

কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়কের দোকানের দুই পাশেই রংবেরঙের ফল থরে থরে সাজানো। প্রায় সব দোকানেই চোখে পড়ে বড় আকৃতির লাল ড্রাগন ফল। রামু উপজেলার ফলের বাগান ‘অরণ্য’ থেকে এসব ড্রাগন ফল আনা হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা। আকারে বড়, স্বাদে মিষ্টি ও দামে সস্তা হওয়ায় বাজারে এই ড্রাগন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

ক্রেতারা আপেল, কমলা, আঙুরের সঙ্গে লাল ড্রাগনও কিনছেন। দোকানের মালিকরা জানান, এক মাস আগেও যশোর ও ঢাকা থেকে আনা ড্রাগন বিক্রি হতো দোকানগুলোতে। সেসব ড্রাগনের কেজি ছিল ৫০০-৬০০ টাকা। এখন তারা ‘অরণ্য’র ড্রাগন বিক্রি করেন। একেকটির ওজন ৭০০-৯০০ গ্রাম।, কেজিপ্রতি দাম ৩৫০-৩৭০ টাকা।

এই ড্রাগন বাজারে আসায় যশোরের ড্রাগনের চাহিদা কমে গেছে। কক্সবাজার ফল ব্যবসায়ীরা জানান, শহরের প্রধান সড়কের দুই পাশে ফলের দোকান আছে ৫০-৬০টি। এসব দোকানে, ফুটপাতে ও ফেরি করে দৈনিক কয়েক মণ ড্রাগন বিক্রি হয়। এসবের ৮০ শতাংশই ‘অরণ্য’র লাল ড্রাগন।

সাত একর জায়গা নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ফলের বাগান ‘অরণ্য’। কক্সবাজার শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নে বাগানটির অবস্থান। এর উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, শখের বশে বাগানটি করেছিলেন। প্রথম তিন বছর লোকসান গুনতে হয়েছে। গত বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে তাঁর বাগানের ড্রাগন ফল বাজারে যাচ্ছে।

এখানে ৮০ শতাংশ জমিতে ড্রাগনের চাষ হচ্ছে। বাগানে খুঁটি আছে ২৫০টি। একটি খুঁটিতে চারটি করে ড্রাগনগাছ বাঁধা। প্রতিটি গাছে ঝুলছে ৯ থেকে ১৫টি করে ফল। ড্রাগনের পাশাপাশি আছে বিভিন্ন জাতের আম, মাল্টা, লিচু, সৌদি খেজুর, আঙুর, রাম্বুটান, মিষ্টি জলপাই, মিষ্টি তেঁতুল, পেঁপে, বরই, পেয়ারা, বিভিন্ন জাতের লেবু, কাজুবাদামের গাছ।

‘অরণ্য’র পরিচালক শিরিন রহমান বলেন, সাত দিন পরপর গাছ থেকে ড্রাগন তোলা হয়। সব মানুষ যেন ড্রাগন খেতে পারেন, এ জন্য দাম কম রাখা হয়।

বাগানের পরিচর্যার কাজে যুক্তরা জানান, এ বছর এখন পর্যন্ত পাঁচ লাখ টাকার ড্রাগন বিক্রি হয়েছে। আরও কয়েক লাখ টাকার ড্রাগন গাছে আছে। কক্সবাজার শহর ছাড়াও রামু, ঈদগাঁও, চকরিয়া, উখিয়া, টেকনাফের বাজারে তাদের ড্রাগন বিক্রি হচ্ছে। এখান থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি ড্রাগন ২৫০ টাকায় কিনে নেন।

ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here