রাজশাহী হোমমেইড ফুড সোসাইটির মিলনমেলা অনুষ্ঠিত

0

ঘরে তৈরি খাবার নিয়ে রাজশাহীর একমাত্র সংগঠন রাজশাহী হোমমেইড ফুড সোসাইটির মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার ৮ ডিসেম্বর, দুপুরে রাজশাহীর উপশহর এলাকায় রাজশাহী হোমমেইড ফুড সোসাইটির সদস্য রুখসানা জামান লাবনীর বাসায় মিলনমেলার আয়োজন করা হয়।

সংগঠনটির ১৫ জন উদ্যোক্তার অংশগ্রহণে আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয়। লাঞ্চ, আলোচনা সভা এবং নিজেদের মতামত প্রকাশের মধ্যে দিয়ে বিকেল ৫টায় আয়োজন টির সমাপ্তি ঘটে।

হোমমেইড খাবার নিয়ে রাজশাহীর একমাত্র সংগঠন ‘রাজশাহী হোমমেইড ফুড সোসাইটি’। করোনা মহামারীর শুরুতে ২০২০ সালে ডেজার্ট ফিউশন এর উদ্যোক্তা শামসিয়া ফাহমিদা রহমানের হাত ধরে সংগঠন টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রতীতির রান্না ঘর, ডেজার্ট ফিউশন, সুমাইয়া’স কিচেন, ছানাপোনা বিলাস, ডেলিশিয়াস কর্নার, মেরীর রান্না ঘর, জুলি’স কিচেন, এসএন ফুড ফ্যানটাসি, হোম ফুড’স, রকমারি রান্নাঘর, টেস্ট অফ হ্যাভেন, রাজশাহী কেক’স হাউস, কেক এন্ড বেক’স, কেক লাভার’স, সুরাইয়া’স কিচেন, লাবনী’স কিচেন, জান্নাতুল’স কিচেন রাজশাহী, টেস্টিইয়াম, থ্রিআরএস ফুড বাস্কেট, আফরিন’স কেক গ্যালারি -এই ২০ টি প্রতিষ্ঠান নিয়ে রাজশাহী হোমমেইড ফুড সোসাইটি গঠিত হয়েছে।

সংগঠনটির সকল উদ্যোক্তাগন পিঠা, পুলি, পায়েস, কেক, মাছ, মাংস, পোলাও, রোস্ট সহ আরো বিভিন্ন ধরনের ঘরে তৈরি খাবার নিয়ে কাজ করেন।এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ উদ্যোক্তার ট্রেড লাইসেন্স ও খাদ্য নিরাপত্তা লাইসেন্স সম্পূর্ণ করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট কয়েকজনের লাইসেন্স কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়াও সংগঠনটির সদস্যগন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এবং বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির এর সদস্য।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা শামসিয়া ফাহমিদা রহমান উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন ‘ একতাই বল’ এবং টেস্ট এন্ড লার্ন আওয়ার বেস্ট ফুড এই ট্যাগলাইন দুটি নিয়ে হোমমেইড ফুড সোসাইটি সামনে এগোচ্ছে। স্বাদে- গন্ধে অতুলনীয় এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে রাজশাহীর যে সকল উদ্যোক্তারা কাজ করেন তাদের নিয়ে সংগঠনটি গঠিত হয়েছে। এতে শুধু আমরা খাবার বিক্রয় করার সুযোগ পাচ্ছি তা নয় বরং আমাদের প্রচার-প্রসার ঘটছে। একসাথে কাজ করার ফলে আমরা একে অন্যের থেকে শেখার সুযোগ পাচ্ছি। এতে করে আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়ছে।

তামান্না ইমাম
উদ্যোক্তা বার্তা, রাজশাহী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here