রাজশাহীর মৃৎ শিল্পের বাতিঘর উদ্যোক্তা আনোয়ার বারী

0
উদ্যোক্তা আনোয়ার বারী

রাজশাহী নগরীর জনপ্রিয় একটি স্থান মুক্তমঞ্চ। যেখানে গেলেই দেখা মিলবে রাজশাহী শহরের মৃৎ, হস্ত ও কুটির শিল্পের একজন পরিচিত মুখ উদ্যোক্তা আনোয়ার বারীর।

যিনি ৪৬ বছর ধরে তিনি বিভিন্ন ধরনের শোপিস, বাচ্চাদের খেলনা, কাঁচেরঘর, কাঠের নৌকা, কলমদানি, উপহার সামগ্রীসহ আরও বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করে আসছেন।

‘মৃৎ,হস্ত এবং কুটির শিল্প’ এই প্রতিষ্ঠানের শুরুর কথা জানতে চাইলে আনোয়ার বারী উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ‘পরিবারের সকল সদস্যের অমতেই ১৯৭৫ সালে নামমাত্র পুঁজি নিয়ে শুরু করেছিলাম এ কাজ। প্রথম দিকে ছিলাম ব্যবসায়ী। অন্যদের থেকে ক্রয় করে বিক্রয় করতাম। তার কিছু বছর পর রাজশাহী পোস্টাল একাডেমির পেছনে আমার মৃৎ, হস্ত ও কুটির শিল্পের কারখানা গড়ি। সেখানেই আমি পণ্য গুলো তৈরি করতাম।তবে করোনা মহামারী এবং শারীরিক অসুস্থতার কারনে আমার কারখানাটির কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়েছে। বর্তমানে বাসায় আমি এই পণ্য গুলো তৈরি করছি।

পণ্যগুলো তৈরিতে উদ্যোক্তার সহধর্মিনী, ছেলেরা এবং ভাইবোনেরা সাহায্য করে থাকেন বলে জানালেন আনোয়ার বারী।

মৃৎ শিল্পের মাটি বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে জানিয়ে উদ্যোক্তা বলেন, ‘একটা সময় মৃৎ শিল্পের এই পণ্যগুলোতে রংতুলির আঁচড় লাগানো আমার নেশা ছিল যা বর্তমানে বয়স বাড়ার সাথে-সাথে দৃষ্টিশক্তি কমায় আর আগের মতো হয়ে উঠেনা তবে এখনো মাঝে- মাঝে বসে যায় রংতুলি নিয়ে। এবং ঝিনুক দিয়ে আমরা যে শোপিস তৈরি করতাম সেই ঝিনুক গুলো আমি চট্রগ্রাম থেকে সংগ্রহ করতাম।মুড়ি পট্টিতে আমার একটি দোকান আছে যা বর্তমানে বিভিন্ন কারনবসত বন্ধ থাকায় আমি শহরের এই জনপ্রিয় স্থান মুক্তমঞ্চ তে প্রতিনিয়ত পণ্যগুলো নিয়ে আসি।এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের মেলায় অংশ নেই।’

উদ্যোক্তা আনোয়ার বারীর জন্ম থেকে বেড়ে উঠা রাজশাহী নগরীতে। মাধ্যমিক পরীক্ষার পর এই পেশায় আসেন তিনি।

তরুণদের উদ্দেশ্যে উদ্যোক্তা আনোয়ার বারী বলেন, ‘আপনারা যারা তরুণ রয়েছেন, চাকরির পেছনে ছুটছেন তারা উদ্যোগ গ্রহণ করুন।পুঁজি নেই বা পুঁজি কম বলে আপনারা শুরু করছেন না এরোকম ভুল না করায় শ্রেয়। আপনাদের ধৈর্য এবং ইচ্ছায় আপনাদের সফলতার দৌরগড়াই পৌঁছে দেবে।’

তামান্না ইমাম
উদ্যোক্তা বার্তা, রাজশাহী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here