রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এর গ্রিন প্লাজায় ষোড়শ জাতীয় পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তার তাপু। অতিথি ছিলেন জাতীয় পিঠা উৎসব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ্ আলম, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান তানবিরুল আলম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ ঘোষ প্রমুখ।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটায় আয়োজনটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পরে অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি বলেন, “পিঠা উৎসব আমাদের লোকায়ত দর্শনের একটি অংশ, আমাদের বাঙালিদের মাঝে বহু আগে থেকে যা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে নাগরিক সমাজের নানা ব্যস্ততায় আমরা অনেকেই আমাদের সংস্কৃতি ভুলতে বসেছি। যে উদ্যোক্তারা সংস্কৃতিকে ধারণ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন বিভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে এই উৎসবে যোগ দিয়েছেন, সকলের জন্য শুভকামনা।”
জাতীয় পিঠা উৎসব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ্ আলম বলেন, “২০০৮ সাল থেকে আমরা পিঠা উৎসব করে থাকি। কয়েক বছর ব্যাপক শাড়া পাওয়ার পর তা জাতীয় পিঠা উৎসব হিসেবে নির্ধারণ হয়। দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে আমরা বিগত বছরগুলোতে পিঠা উৎসব করে এসেছি, আগামীতেও করবো। এটি আমাদের সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।”
জাতীয় পিঠা উৎসবে রাজশাহী, ঢাকা, ঝিনাইদহ, বরিশালসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে বাহারি স্বাদের বাহারি নকশার পিঠা নিয়ে উদ্যোক্তারা অংশ নিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য কিছু পিঠার মধ্যে আছে নকশি পিঠা, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটা, দুধ চিতই, দুধ মনমোহন, মালপোয়া, পাকোয়ান, ঝাল মিষ্টি কুশলি ইত্যাদি। পিঠা স্টলের পাশাপাশি পিঠা তৈরি উপকরণ বিক্রয়ের সাথে জড়িত স্টলও রয়েছে মেলায়। রাজশাহীসহ সারাদেশের উদ্যোক্তাদের এখনো মেলায় অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে আয়োজকরা জানান।
জাতীয় পিঠা উৎসব পরিষদের আয়োজনে ষোড়শ জাতীয় পিঠা উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সহযোগিতায় আছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পিঠা প্রদর্শনী ও বিক্রয়ের এই মহোৎসব চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন
বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা সকলের জন্য উন্মুক্ত এই পিঠা উৎসব।
তামান্না ইমাম
উদ্যোক্তা বার্তা