রসায়ন থেকে কাগজে কাগজে সৃজনশীলতা

0
উদ্যোক্তা জাকিয়া ফারহীন

জাকিয়া ফারহীন তার উদ্যোগ ক্রাফট হারবার নিয়ে প্রায় দুই বছর আগে যাত্রা শুরু করেন। শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছেন হ্যান্ডমেইড গিফট আইটেম নিয়ে যার মাঝে উল্লেখ্য হলো পেপার এর মাধ্যমে বানানো পণ্য।

উদ্যোক্তা হিসেবে তার যাত্রাপথের শুরু করেন নিতান্তই শখের বসে। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ক্রাফটের দৃষ্টিনন্দন পণ্য বানিয়ে কাছের মানুষদের উপহার হিসেবে দিতেন। এরপর একটা সময় পর তার মনে হয় এই দৃষ্টিনন্দন জিনিসের বেশ চাহিদা থাকবে। এরপরেই কাজে লেগে পড়েন উদ্যোক্তা।

যাত্রাপথে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো বাধার সম্মুখীন না হলেও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন সম্মানিত উদ্যোক্তা। তার মাঝে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল উপযুক্ত সৌখিন মানুষ খুঁজে বের করা যারা ক্রাফটের মান বুঝতে পারবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া এই উদ্যোক্তা খুব সহজেই তিনি পেয়ে যান তার কাঙ্খিত উদ্যোক্তা। তার এই পথচলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আলহামদুলিল্লাহ সৃজনশীল কাজের মধ্য দিয়ে উপযুক্ত সৌখিন মানুষ খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। এখন ব্যতিক্রম কিছুর জন্য অনেকেই আমার ছোট্ট এই উদ্যোগের নাম স্মরণ করেন,যা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।”

ছোটবেলা থেকেই সৃজনশীল কাজ পছন্দ করতেন উদ্যোক্তা। ক্রাফটিং করে গিফট করতেন কাছের মানুষদের। আস্তে আস্তে স্কিল বাড়লো, কাজের নিজস্বতা আর নতুনত্ব আসলো উদোক্তার। এরপর মূলত পরিবারের উৎসাহে ফেইসবুকে পেইজ খুলেন তিনি।তার কাজ করার অনুপ্রেরণার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আব্বু সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট করেছিলেন এবং এখনও করে চলেছেন।পরিবারের উৎসাহ আর ক্রেতাদের সন্তুষ্ট হওয়াই এখন মূল অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে আমাকে এগিয়ে যেতে।”

প্রতিযোগিতায় নাম লেখানোর সুযোগ খুব একটা না হলেও একবারই দিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন উদ্যোক্তা। কলেজে থাকতে হস্তশিল্প প্রতিযোগিতায় ১ম হয়েছিলেন তিনি । ১ম হওয়ার কারণ ছিল অন্য সবার কাজ থেকে তার কাজ একেবারেই আলাদা আর অনেক বেশি নিখুঁত হয়েছিল যা সবার মন কেড়েছিল।

তরুণ উদ্যোক্তাদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি উদ্যোক্তা বার্তা কে বলেন, “একটি উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ এখন খুব জরুরি।গড়পড়তার বাইরে গিয়ে যারা একেকজন উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন,তাদের প্রতি নাক সিঁটকানো,ফ্রি চাওয়া এসবের পরিবর্তে তাদের সাপোর্ট করে বড় হওয়ার সুযোগ দেয়া উচিত।”

উদ্যোক্তা স্বপ্ন দেখেন যারা নিজস্ব তৈরি প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন,তারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে,তারা সম্মানটাও সর্বোচ্চ পাবে। একদিন প্রত্যেক উদ্যোক্তা তার সেই প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদা পাবে বলে তার বিশ্বাস।

সাকিব মাহমুদ,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here