যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের টেইলারিং কোর্সের মাধ্যমে সফলতার মুখ দেখেছেন উদ্যমী উদ্যোক্তা পারুল আক্তার ।
বগুড়ার মেয়ে পারুলের সাংসারিক অভাব অনটনের মধ্যেই দিন কাটত। স্বামী বাইক দুর্ঘটনায় পা হারানোর সেটা আরও বেড়ে যায়। ২০০৭ সাথে স্থানীয় যুব উন্নয়ন অফিস থেকে টেইলারিং এ ট্রেনিং নেয় পারুল। এরপর আশেপাশের বিভিন্ন পাড়া প্রতিবেশীদের থেকে অর্ডার নিয়ে কাজ শুরু করেন নিজ বাসাতেই।
উদ্যোক্তা জানালেন, ট্রেনিং শিখে কাজ শেখার পর স্বামীর উৎসাহে শহরে দোকান ভাড়া নেই। টানা ২২ দিন পর প্রথম গ্রাহকের দেখা পাই।এভাবেই দিন চলতে থাকে। ব্লক, বাটিক আর টেইলারিং-এর কাজ করতাম।
এরপর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ঋণ ও নিজস্ব কিছু সঞ্চয় মিলিয়ে পারুল প্রতিষ্ঠা করেন কারুকার্য বুটিক হাউজ। যদিও শুরু করেছিলেন গায়ের শীতকালীন চাদর বানানোর মাধ্যমে, এখন তাদের কালেকশনে রয়েছে ছোটোদের জামাকাপড় থেকে শুরু করে বিছানা চাদর, বালিশের কাভার, থ্রিপিছ সহ আরও অনেক কিছু। এরমধ্যে অংশগ্রহণ করছেন বিভিন্ন সেমিনার ও যুব মেলায়।
বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ১২ জন কর্মী। তার অনুপ্রেরণায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আরও ৪৯ জন যুবক যুবতী।
পারুল বললেন, নিজের ব্যবসায় তার স্বামী এনামুলকে সব সময় পাশে পেয়েছেন। দু’জন মিলেই ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
এছাড়াও পারুল যুক্ত আছেন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে। নিজে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করেন সুবিধা বঞ্চিত নারী ও শিশুদের। পারুলের ইচ্ছে ভবিষ্যতে প্রতিবন্ধী ও সুবিধাবঞ্চিত কিছু শিশুর সম্পূর্ণ ভরণপোষণের দায়িত্ব নেয়া।
মার্জিয়া মৌ,
উদ্যোক্তা বার্তা