বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে আরও বেশি তুলে ধরতে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক-২০২২’উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন তিনি।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) আয়োজিত ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি এসএম মান্নান কচি এবং সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম ।
প্রথমবারের মতো রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ উপলক্ষে বিআইসিসিতে পোশাক প্রদর্শনী প্রধানমন্ত্রীকে ঘুরে দেখান বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’-এর কর্মসূচির বিস্তারিতও তুলে ধরেন।
বিজিএমইএ জানায়, বাংলাদেশ উইকের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করা। ক্রেতাদের সামনে দেশের বদলে যাওয়া পোশাক খাতের সামর্থ্য তুলে ধরা। পোশাক শিল্পে যে উদ্ভাবনী, এই শিল্পের যে ইতিবাচক দিক তা আন্তর্জাতিক মহলকে জানানো।
১৬ নভেম্বর পর্যন্ত মেগা ইভেন্ট ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ শনিবার সকালে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবে একটি গলফ টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। দেশ-বিদেশের মানুষ, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও সহযোগীরা এই টুর্নামেন্টে অংশ দেন। তবে রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী এর উদ্বোধন করলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে যুবকদের বিনা জামানতে ঋণের ব্যবস্থা করেছে এই সরকার। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল তৈরি করে দিয়েছে। তৈরি করোনা মোকাবিলায় পোশাকশিল্পে আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছে সরকার।
‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ মেগা ইভেন্টে যোগ দিতে পোশাক খাতের বিদেশি ৫৫০টি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিনিধি ঢাকায় এসেছেন।
প্রথমবারের মতো ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ নামে মেগা আয়োজনে রয়েছে পাঁচটি আন্তর্জাতিক ইভেন্ট। এগুলো হচ্ছে: ঢাকা অ্যাপারেল সামিট, ঢাকা অ্যাপারেল এক্সপো, বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো, সাসটেইনেবল ডিজাইন অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস এবং সাসটেইনেবল লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডস। এছাড়া মেইড ইন বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ডস নামে আলাদা ইভেন্টসহ আরও কিছু আয়োজন রয়েছে।
এই আয়োজনে পোশাক খাতের নিরাপদ কর্মপরিবেশ, শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষাসহ অনুসরণযোগ্য চর্চার গল্প নিয়ে ‘ওয়ান জিরো ওয়ান গুড প্রাকটিস ইন আরএমজি ইন্ডাস্ট্রিজ ইন বাংলাদেশ’ এবং বাংলাদেশকে তুলে ধরতে ‘বাংলাদেশ হ্যারিটেইজ বুক’ নামে দুটি গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং ঐতিহ্য ও বদলে যাওয়া পোশাক খাত সম্পর্কে জানবে সারাবিশ্ব।
সোমবার ঢাকা অ্যাপারেল এক্সপোর উদ্বোধন এবং ৩৭তম ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন মঙ্গলবার বিদেশি ক্রেতাদের বাংলাদেশের সবুজ শিল্প ভ্রমণ করানো হবে। একই দিনে ঢাকা অ্যাপারেল সামিট ও ডেনিম এক্সপোর উদ্বোধন করা হবে। শুক্রবার বিজিএমইএ’র ইনোভেশন সেন্টার উদ্বোধনের মাধ্যমে শেষ হবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’।
ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা