মুন্সীগঞ্জের মেয়ে হালিমা শিকদার।ছোট বেলা থেকেই ডিজাইনের প্রতি ছিল প্রবল আগ্রহ। স্কুলে পড়ার সময় নিজের ড্রেস নিজেই ডিজাইন করে পরতেন।বন্ধুরা খুব পছন্দ করতেন তার ডিজাইনে করা ড্রেসগুলো।
মেট্রিক পাশ করার পরই বিয়ে হয়ে যায় উদ্যোক্তা হালিমা শিকদার এর। কিন্তু পড়াশোনাটা চালিয়ে গেলেন। এরই মধ্যেই সংসার আলো করে এলো দুই সন্তান। পড়াশোনা করা এবং বাচ্চা সামলানো একসাথে সব যুদ্ধ জয় করে ডিগ্রি পাশ করলেন হালিমা।
২০১৪ সাল, চাকরী নিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে, সংসার সামলাতে গিয়ে চাকরীটা আর করা হলোনা হালিমার। বন্ধ হয়ে গেলো মাস শেষে হাতে আসা বেতনের ফিক্সড এমাউন্টও। ভাবলেন ঘরে বসেই এমন কিছু যদি করা যায়,যা দিয়ে স্টাইলও হবে আবার নিজেকে কাভারও করা যাবে, নিজের কিছু আয় হবে সাথে অন্যের কর্মসংস্থানও।
সেই চিন্তাধারা থেকেই বন্ধুদের উৎসাহে ২০১৮ সালে বি’ইয়া থেকে নিলেন বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এর উপরে একটি ট্রেনিং। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের সঞ্চার হলো। ২জন কর্মী এবং ১০০০০টাকা দিয়ে শুরু করলেন একটি উদ্যোগ। নাম দিলেন ‘সাফেরো’। মার্কেট ডিমান্ডের কথা মাথায় রেখে বেশ চ্যালেঞ্জ নিয়েই প্রথম তৈরি করলেন কিছু আউটার এবং আবায়া। নজরকাড়া ডিজাইনের পণ্যগুলো মন ছুঁয়ে গেলো ক্রেতাদের। প্রথমবারের মত অংশগ্রহণ করলেন মাইডাস মেলায় ব্যাপক সাড়া পেলেন সেখানে। আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেলো দ্বিগুন। প্রোডাক্ট লাইনে যোগ হলো কুর্তি,ফতুয়া, হিজাব সহ প্রায় ৭ ক্যাটাগরির পণ্য।
নিজের উদ্যোগের ভিত্তিকে মজবুত করতে নিয়েছেন জাতীয় মহিলা সংস্থা থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিং ট্রেনিং, জার্মান টেকনিক্যাল থেকে প্যাটার্ন এর উপর ট্রেনিং, এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে ফ্যাশন ডিজাইনিং ট্রেনিং। এছাড়াও বিভিন্ন সময় ফুড কুকিং এবং ক্যাটারিং এর কোর্সও সম্পন্ন করেছেন উদ্যোক্তা হালিমা। অংশগ্রহণ করেছেন বিভিন্ন মেলায়, বি’ইয়া আয়োজিত মেলায় অংশগ্রহণ করে মিলেছে বেস্ট সেলার এওয়ার্ড। নিজের উদ্যোগে নিজেও একজন কর্মী সাথে আরো ৬ জন কর্মী নিয়ে আজ প্রায় সাত লক্ষ টাকা মূল্যমানের উদ্যোগ পরিচালনা করছেন উদ্যোক্তা হালিমা শিকদার।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা