বৈশ্বিক মহামারী করোনার সময়ে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের অনেক বিখ্যাত খেলোয়াড়রা মানুষের সাহায্যের জন্য নিলামে তুলেছেন প্রিয় ও স্মরণীয় ব্যাট, বল, জার্সি সহ আরো কত কি? এবার সেই তালিকায় নাম লেখাতে চান বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডির স্বনামধন্য রেফারী এসএম আব্দুল মান্নান।

নিলামে তুলতে চান সর্বশেষ ২০১৬ সালে ভারতের গুজরাট প্রদেশের আহাম্মেদাবাদে অনুষ্ঠিত ৩য় বিশ্বকাপ কাবাডির ওপেনিং ও স্বাগতিক ভারত বনাম ইরানের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচসহ মোট ৯টি খেলা পরিচালনা করা সেই জার্সিটি।

জার্সি নিলামে তোলা প্রসঙ্গে রেফারী এসএম আব্দুল মান্নান উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, করোনা ভাইরাসে আমাদের দেশের অসংখ্য গরীব মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্রিকেটারদের ব্যাট, মোনেম মুন্নার জার্সি ও ফুটবল রেফারী তৈয়ব ভাইয়ের রেফারিং জার্সিও নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। তাই আমিও ভাবলাম আমার জার্সিটি তো বিশ্বকাপ এর মত বড় আসরের খেলা পরিচালনা করা জার্সি। এটি বাসায় স্বযত্নে রাখা আছে। কিছুদিন পর হয়তো আমি থাকবো না। তখন এই জার্সি থেকে কি লাভ? তাই এমন কঠিন পরিস্থিতিতে যদি জার্সি বিক্রির পুরো অর্থটা অসহায় মানুষের কাজে লাগানো যেত তাহলে খুব ভাল হতো।

আশা করি অসহায় মানুষদের সহযোগিতায় নিলামে তোলা আমার এ জার্সিটি কেনার জন্য সমাজের বিত্তবান মহান ব্যক্তিরা এগিয়ে আসবেন।

উল্লেখ বিশ্বকাপ এ কাবাডি আসরে বাংলাদেশের রেফারী মান্নান “রেফারী অব দ্য টুর্নামেন্ট” নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জল করেন।

খেলোয়াড়ি জীবনের সমাপ্তি শেষে ১৯৮৬ সালে কাবাডি রেফারী হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করা শুরু হয় মান্নানের। রেফারী মান্নান বিশ্বকাপ কাবাডির মত বড় আসরের ম্যাচ পরিচালনা ছাড়াও ২০০৮ সনে ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে এশিয়ান বীচ গেমসে পুরুষ ও মহিলা দলের ফাইনাল সহ ৮টি খেলা পরিচালনা করেন।

২০০৯ সালে ম্যাকাও তে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইনডোর গেমসে ফাইনাল সহ ৫টি খেলা পরিচালনা করেন। ২০১১ সালে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইনডোর গেমসে ফাইনাল সহ ৬টি খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিয়নে এশিয়ান ইনডোর গেমসে সেমিফাইনাল, ফাইনাল সহ ৯ টি খেলায় রেফারীর দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া ২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়াতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে মোট ১০টি ম্যাচ রেফারী হিসেবে পরিচালনা করেন। ২০১৭ সালে জনপ্রিয় প্রো কাবাডি আসরে ৭টি খেলা পরিচালনা করেন এবং সর্বশেষ ২০১৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সংযু মার্শাল আট চ্যাম্পিয়নশিপে অন্তর্ভুক্ত কাবাডি ডিসিপ্লিনের ছেলে ও মেয়েদের মোট ১১টি খেলা পরিচালনা করেন দেশের এ কাবাডি রেফারী।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here