সফল নারী উদ্যোক্তা নাসরিন জাহান

উদ্যোক্তার মুখে বেশ হাসির ছটা, হাসিখুশী ভাবেই কথা বলছেন কর্মীদের সাথে, আর বলবেই না কেন! মাত্র ৬বছরের ব্যবধানে নিজেকে করেছেন প্রমাণ, হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা। শুরু করেছিলেন মাত্র ১ লক্ষ টাকায় আর এখন অর্ধ-কোটি টাকার ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

হ্যাঁ, কথা বলছি ফেনীর মেয়ে নাসরিন জাহানকে নিয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইকোনমিক্সে স্নাতক সম্পন্ন করে আইএলও তে (ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন) চাকরি শুরু করেন। প্রায় ৫বছর চাকরি করেন। এরপর কারণবশত বিদেশে যাবার প্রয়োজনে চাকরিটা ছাড়তে হয়। বিদেশে থেকেছেন ১০বছর এরপর ফিরে এসে আর চাকরি খোঁজেননি।

নাসরিন যখন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তখন নিজের ব্যবহৃত পোশাকের জন্য সবার কাছে খুব প্রিয় ছিলো। সেসময় থেকেই নিজে ডিজাইন করে টুকটাক পোশাক বানাতেন সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শুরু করলেন নতুন পথচলা।

ধানমন্ডিতে ২জন কর্মী আর ১টি মেশিন নিয়ে ৫×৫ স্কয়ার ফিটের ছোট্ট একটা দোকান নিলেন। নিজের জমানো এবং স্বামীর দেয়া কিছু টাকা মোট প্রায় ১লাখের মতো পুঁজি। দিনরাত পরিশ্রম আর শুধুই এগিয়ে যাওয়া। পরবর্তীতে ছোট বোনও কিছু পুঁজি দিয়েছেন।

উদ্যোক্তা নাসরিন বলেন, “স্কুলের সামনে দোকান হওয়ায় বাচ্চাদের মা’রা খুব আসতেন দোকানে কিন্তু এতো ছোট দোকান যে ২জনের বেশী দাঁড়াতেই পারতেন না। তবে ডিজাইন আর ভালো মানের জন্য খুব ভালো সাড়া পেতাম”।

ধীরে ধীরে নাসরিনের ব্যবসা বাড়তে থাকে। ছোট্ট সেই দোকান ছেড়ে ধানমণ্ডির “এডিসি এমপায়ার প্লাজায়” বড় একটা দোকান নিলেন। এখন সবমিলিয়ে ৯জন কর্মী সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।ফ্যাক্টরিতে কাজের চাপ বাড়লে লোকজন বাড়ান। তার তৈরী ছেলেদের পাঞ্জাবীর বেশ ভালো চাহিদা আছে মার্কেটে।

পরিবারের ছেলেদের জন্য প্রথমে পাঞ্জাবী বানাতেন। পরে সেটার বানিজ্যিক রূপ দেন। এছাড়াও সালোয়ার-কামিজ, লং ড্রেস, পালাজু, কুর্তি, ফতুয়া ও বিভিন্ন এমব্রয়ডারির পোশাক তৈরি করেন। কাজ ও কাপড়ের ওপর ভিত্তি করে দামের পার্থক্য হয় ১৫০০-৭০০০টাকা।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে উদ্যোক্তা নাসরিন বলেন, ” অনলাইনে পেইজ আছে সেটা একটিভ করবো এবং বড়ো নামকরা একটা প্রডাকশন হাউজ থাকবে যেটার সকল কিছুর ডিজাইন থাকবে আমার নিজের করা, নিজেকে বড় একটা ডিজাইনার হিসেবে দেখতে চাই”।

 

 

বিপ্লব আহসান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here