করোনার এই মহামারিতে যারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা আছেন তাদের প্রত্যেকের না হলেও বেশীভাগ উদ্যোক্তা একটি সমস্যায় পড়েছিলেন, তা হলো বিক্রি কম। কিন্তু কিছু উদ্যোক্তা এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে অন্য সময়ের চেয়ে বেশী সেল করতে পরেছেন। যারা পারেননি তাদের সমস্যা কোথায় এবং কি ভাবে তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন এমন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন উদ্যোক্তা বার্তার সাথে সম্মানিত উদ্যোক্তা ফাতেমা লতা।
তার ভাষায়, “সেল নেই বিষয়টি আমি নিজেও অনুধাবন করেছি। গত ৪/৫ মাস ধরে আমার হাতে গড়া ছোট্ট শোরুম যা আমি বন্ধ করে দেয়ার মতো ডিসিশন নিয়েছি। কিন্তু হঠাৎই একটা বিষয় মাথাচাড়া দিয়ে উঠল অনেকেরই তো হচ্ছে, আমার কেন হচ্ছে না?
অনেকেরই তো অনলাইনে সেল ভালো। আমি বিভিন্নভাবে অনলাইনে সেলের বিষয়ে পড়াশোনা, নিজের কিছু প্রশিক্ষণ অভিজ্ঞতা এবং পরিচিত অনেকের সঙ্গে আলোচনা করে নিজের অনলাইনে বিষয়টা নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম এবং গত ১ মাসে আমি দিন রাত এক করে সেল পোস্ট দেয়া শুরু করলাম। গত ১৫ দিনে আমার যা সেল হয়েছে যথেষ্ট আশানুরূপ।
এই সময় টাতে আমরা যদি আমাদের অনলাইন স্ট্রং না করি তাহলে একসময় হয়তো আমরা হারিয়ে যাবো। অনলাইন নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নিজের বাসাতেও অনেকের কাছে শুনতে হয়েছে আজকাল মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকি কিন্তু এই বিষয়গুলোকে জানতে হলে একটু সময় তো দিতেই হবে এবং একটি কথা না বললেই নয় এফোর্টলেস কোন কাজ কখনো ভালো ফিডব্যাক নিয়ে আসে না। আপনি যেখানেই এফোর্ট দিবেন সেখানে অবশ্যই একটা ভালো ফিডব্যাক আপনার কাছে আসবে, হয়তো এমন হতে পারে আপনি যে সময়টা থেকে ফিডব্যাকটা চাচ্ছেন সেই সময়টাতে হয়তো আসলো না কিন্তু একসময় না একসময় আপনার ফিডব্যাকটি দ্বিগুণ পরিমাণ আপনার কাছে আসবে।
সব থেকে জরুরি বিষয় হল এই মুহূর্তে আমরা যে যে বিষয় গুলো নিয়ে কাজ করছি,আমার মূলত ব্লক, স্কিনপ্রিন্ট নিয়ে কাজ করি। যেখানে আমি ব্লক বেশি ফোকাস করি কিন্তু এই মুহূর্তে আমি কাজ করছি কিছু ক্রাফটিং আইটেম নিয়ে। এই বিষয়টিতে ডাইভার্ট হওয়ার একমাত্র কারণ আমার বেসিক বিষয়টিকে টিকিয়ে রাখা।আমাকে এই দ্বিতীয় পন্থা অবলম্বন করতে হয়েছে এবং এর মাধ্যমে যেটা হয়েছে এক ধরনের ডাইভারসিফিকেশন এর কারণে আমার টিকে থাকাটা কিছুটা নিশ্চিত হয়ে গেছে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে আমি একটা নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করছি। আমাদের দেশীয় নিজেদের হাতে তৈরি নতুন পন্য। অনেকেই ভাবে বা আমিও ভেবেছিলাম যে আমার শোরুম থেকে সেল হচ্ছে, অনলাইনটা আমার না হলেও চলবে সেটা সবথেকে ভুল ধারণা।
অনলাইন সেল চালু করতে হবে এবং এ বিষয়ে আমাদের আপডেট থাকতে হবে। আমার মনে হয়, সময় চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে প্রতিকূলতাকে নিজের অনুকূলে আনাই বোধকরি উদ্যোক্তার পরিচয়”।
বিপ্লব আহসান