জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সফল উদ্যোক্তা রেজবিন হাফিজ। যার প্রতিষ্ঠানের নাম পিপলস ফুটওয়ার লেদারগুডস। তিনি মূলত চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্য যেমন জুতা-স্যান্ডেল ব্যাগ ইত্যাদি উৎপাদন করে থাকেন।
বিশ্বব্যাপী যে বৈশ্বিক মহামারী চলছে তার মধ্যেও সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনি কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ইতোমধ্যে লকডাউন পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক দিকে তাই বিভিন্ন ধরনের অর্ডারগুলো পেতে শুরু করেছেন এই সফল উদ্যোক্তা। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বি ডি জেলের একটি কর্পোরেট অর্ডারের কাজ পেয়েছেন। ৬ হাজার পেয়ার জুতা।
তিনি জানান, “যেহেতু এই সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে। তাতে দেখা গিয়েছে যে এই কাজের জন্য আমার যে পরিমাণ কর্মী প্রয়োজন এবং স্পেস দরকার অন্যদিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ডেলিভারি টাইম ঠিক রাখতে হলে আমার একার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে আমি আমার নিজ ফ্যাক্টরি এবং অন্য ফ্যাক্টরিতে জব ওয়ার্কারের মাধ্যমে এই কাজগুলো সম্পন্ন করছি। এই বৎসর বর্ষসেরা মাইক্রো উদ্যোক্তা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুরস্কার গ্রহণ করায় সত্যিকার অর্থেই আমার মনোবল অনেক বেড়ে গেছে । এখন পেছনে ফিরে তাকানোর কোন চান্স নেই। যেভাবেই হোক আমাকে টিকে থাকতে হবে এবং সেই সাথে টিকিয়ে রাখতে হবে আমার ব্যবসাকে”।
আর এই পরিস্থিতিতে কর্মীদের মনোবল দৃঢ় রাখা এবং তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য অতিরিক্ত কিছু খরচ করতে হচ্ছে উদ্যোক্তা রেজবিন হাফিজকে। দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা, কর্মী ও তার পরিবাারের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানসহ সবকিছুর দেখভাল করার চেষ্টায় আছেন। উদ্যোক্তার বিশ্বাস এই পরিস্থিতির মধ্যে , যদি উদ্যোক্তারা নিজেরা নিজেদের অবস্থান থেকে তাদের নিজ কর্ম পরিচালনা করেন, প্রোডাক্টের গুণগত মান ঠিক রাখেন এবং থেমে না থেকে নিজেকে এগিয়ে নেয়ার মানসিকতা সৃষ্টি করেন। তাহলে অবশ্যই উদ্যোক্তারা ঘুরে দাঁড়াবে, ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা