বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট শামস মাহমুদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সাথে শিল্প মন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিটিসিসিআই) থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের সম্ভাব্য শিল্প স্থানান্তর করতে সরকারের সহযোগিতা চেয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছে। বিটিসিসিআই দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে এবং বাংলাদেশের লাভজনক খাতগুলোকে অন্যান্য দেশের কাছে উন্নীত করতে শুল্ক বাধা অপসারণও চেয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকার শিল্প ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
শামস মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু। বিটিসিসিআই ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
বিটিসিসিআই সভাপতি বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে আরও যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেন এবং এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে শিল্পমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, ইলি থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ লিমিটেড এবং সিয়াম সিটি সিমেন্ট লিমিটেডের মতো বাংলাদেশে কিছু বড় কোম্পানির বিনিয়োগের কারণে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করতে থাইল্যান্ডের আগ্রহ রয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে পাট, চামড়া, কৃষি, হালকা প্রকৌশল ইত্যাদির মতো বিদ্যমান খাত ছাড়াও বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস, আরএমজি, পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা, হিমায়িত খাবার, মৎস্য, অবকাঠামো, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে থাই বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে।
শিল্পমন্ত্রী বিটিসিসিআইকে তাদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, থাইল্যান্ডও বাংলাদেশের অবকাঠামোতে বিনিয়োগ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বিটিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মোঃ মুনির হোসেন বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত সুসম্পর্ক জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা