কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকুল থাকায় করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় বাজারে করলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি হওয়ায় ভালো দাম পেয়ে খুশি প্রান্তিক চাষিরা।
অন্য বছরের মতো এ বছরও করলার চাহিদা ব্যাপক থাকায় দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীরা করলা কিনে ট্রাকভর্তি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন ফুলবাড়ীর করলা। এতে অধিক লাভবান হচ্ছেন এ অঞ্চলের প্রান্তিক চাষিরা।
উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে করলার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পেয়ে প্রান্তিক চাষি ও স্থানীয় পাইকাররাও লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয় পাইকাররা প্রান্তিক কৃষকদের কাছে থেকে ২,২০০ টাকা দরে করলা কিনে তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে করলা ব্যবসায়ীদের কাছে ২,৩০০ টাকা মণ বিক্রি করছেন। তাতে কৃষকরাও যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি স্থানীয় পাইকাররাও।
প্রতিদিন প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে করলা ক্রয় করে স্থানীয় বিভিন্ন হাট-বাজারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিনই করলা ট্রাক লোড করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাট, নড়াইল, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছেন সেখানকার করলা ব্যবসায়ীরা। এভাবে আগাম জাতের করলার চাষাবাদ করে বদলে গেছে অনেক চাষির ভাগ্যের চাকা। ভালো দামের আশায় গত বছরের চেয়ে এবার কৃষকরা বেশি বেশি করে করলার চাষ করেছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আগস্ট থেকে অক্টোবর ও অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে ক্ষেতে দুবার করলা চাষ করা যায়। সাধারণত রোপণের ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। মাত্র দেড় মাসে ফলন পাওয়া যায় বলে এই ফসলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে চাষিদের মধ্যে।
স্থানীয় কৃষকদের থেকে জানা যায়, তারা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এ বছর প্রত্যেকেই ১ বিঘা জমিতে করলার চাষবাদ করেছেন। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি দামও পেয়েছেন ভালো।
চাষিরা জানান, এক সপ্তাহ আগে ক্ষেতে বসেই ৩,৬০০ থেকে ৪,০০০ টাকা করলার মণ বিক্রি করলেও গত দুই দিন থেকে কৃষকরা ২,০০০ থেকে ২,২০০ টাকা দরে পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন। তারপরও করলার দাম এরকম এক মাস স্থায়ী থাকলে কৃষকরা দ্বিগুণ লাভবান হবেন। করলা চাষে খরচ লাগে বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। এ বছর করলার বাম্পার ফলন ও দাম ভাল থাকায় প্রতি বিঘায় খরচ বাদে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় হবে বলে জানান কৃষকরা।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা