বসন্তের আগমনীতে ‘ফাগুন বরণ মেলা’

0

নানা রঙের দেশীয় গহনার স্টলের সামনে দাঁড়িয়ে ছোট্ট মাহা বেছে নিচ্ছে তার পছন্দের চুড়ি। কেউবা হ্যান্ড পেইন্টেড শাড়ি দেখে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। কেউ শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে গহনাও কিনছেন। উৎসবকে কেন্দ্র করে সবাই ব্যস্ত কেনাকাটায়। এমনই চিত্র দেখা গেল ধানমন্ডি ২৭ এর মাইডাস সেন্টারের দুদিনের ‘ফাগুন বরণ মেলা’য়।

‘চারুকলা’র উদ্যোগে কয়েকজন তরুণের ভিন্নধর্মী এই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে ৪০টি স্টলে অর্ধশতাধিক উদ্যোক্তার সমাগম ঘটে দেশীয় পণ্যের এই মেলায়। স্টলে স্টলে দেশীয় ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত পণ্য ক্রেতা দর্শনার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বসন্তের আগমনীর কথা চিন্তা করে সবাই নিজের নিজের পছন্দের পণ্য সংগ্রহ করেছেন।

মেলায় স্টলগুলোতে ছিল বাহারী সব দেশীয় শাড়ি, থ্রিপিস, ওড়না, পাঞ্জাবি, কাপল সেট। এছাড়াও ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে গলার হার, হাতের চুড়ি, কানের দুল, আংটি, টিপ, চুলের ক্লিপ। পাশাপাশি মণিপুরী পোশাক, পাটের নানা ধরণের পণ্য ও ভোজনরসিকদের জন্য দেশীয় পিঠাসহ হোম মেড স্ন্যাক্স এর আয়োজন। উদ্যোক্তাদের তৈরি বাসন্তী পণ্যগুলোই দর্শনার্থীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায়।

মেলায় হ্যান্ডমেড জুয়েলারি নিয়ে অংশ নেন উদ্যোক্তা হোসনে এমদাদ। তিনি বলেন, ‘উৎসবকে কেন্দ্র করে আমরা বিভিন্ন নতুন ডিজাইনের পণ্য নিয়ে এসেছি এই মেলায়। ক্রেতারা বেশ পছন্দ করেছেন। আমাদের মতো অনলাইন উদ্যোক্তাদের জন্য এই মেলাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ কাস্টমার ফিডব্যাক ভালো পাওয়া যায়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যমী কিছু শিক্ষার্থীর উদ্যোগে গড়ে তোলা সংগঠন ‘চারুকলা’ এই মেলার আয়োজক। দেশীয় ও ঐতিহ্যর সাথে মিশে থাকা পণ্যের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিসহ অনলাইন পণ্যের প্রতি বিশ্বাস ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোই মূল লক্ষ্য বলে জানান আয়োজকরা।

৩ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন হয়ে দুইদিন ব্যাপী মেলা শেষ হয় ৪ ফেব্রুয়ারি।

সেতু ইসরাত
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here