বর্জ্যকে টেকসই পদার্থে রুপান্তর করেছেন নাজাম্বি মাটি

0

কংক্রিটের চেয়ে শক্তিশালী ইট তৈরির কাজে প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার করছেন কেনিয়ান স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতা নাজাম্বি মাটি।

২৯ বছর বয়সী এই নারী একজন প্রকৌশলী এবং তিনি বায়োকেমিস্ট্রিতেও পড়াশোনা করেছেন। তিনি বর্জ্যকে টেকসই পদার্থে রুপান্তর করার নতুন উপায় বের করেছেন।

নাজাম্বি মাটির নাইরোবি ভিত্তিক স্টার্টআপ কোম্পানি জেঞ্জ মেকারস হালকা ও কম খরচে ইট তৈরি করছে যা কিনা কংক্রিট উপাদানের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। এই ইট তৈরিতে বালির সাথে প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার ঘটছে।

তার কোম্পানি প্যাকেজিং কারখানা থেকে প্লাস্টিকের বর্জ্য সংগ্রহ করে এবং অন্যান্য পুনর্ব্যবহারকারীর থেকেও কিনে নেয়।যা বালির সাথে মেশানো হয়।কোম্পানিটির তিনটি মেশিন রয়েছে। এক্সট্রুডার বালির সাথে প্লাস্টিকের বর্জ্য মিশ্রণ করে, খুব উচ্চ তাপমাত্রায়। তারপর প্রেস এটিকে সংকুচিত করে।

নাজাম্বি মাটি বলেন, ‘এখন আমাদের প্রতিদিন এক হাজার থেকে ১৫ হাজার পর্যন্ত ইট উৎপাদনের ক্ষমতা আছে।’

নাজাম্বির কোম্পানি জেঞ্জ মেকার প্রকল্প ঘর, স্কুল বা রাস্তায় প্রয়োগ করা পাথর দিয়ে পণ্যটি ব্যবহার শুরু করেছেন। পণ্যটি অত্যন্ত টেকসই এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় হ্রাস করে।তার স্টার্টআপ কোম্পানি প্রতিদিন প্রতিদিন ৫০০ কিলোগ্রাম প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করে।

নাজাম্বি মাটি বলেন ‘প্লাস্টিকের বর্জ্য কেবল একটি কেনিয়ার সমস্যা নয়, এটি একটি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। নাইরোবিতে বসে আমরা প্রতিদিন ৫০০ মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন করি এবং এর এক ভগ্নাংশই পুনর্ব্যবহারযোগ্য ।এখন পর্যন্ত আমরা ২০মেট্রিক টন পুনর্ব্যবহার করেছি, এবং আমরা আগামী অর্থবছরের শেষের দিকে সেই মানকে ৫০ এ উন্নীত করার চেষ্টা করছি।’

নাজাম্বি এই উদ্যোগের জন্য সম্প্রতি জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচিতে (ইউএনইপি) একজন ইয়ং চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ ২০২০ আফ্রিকা বিজয়ী নির্বাচিত হয়েছেন।

তামান্না ইমাম
(তথ্যসূত্র ও ছবি ইন্টারনেট থেকে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here