করোনা মহামারীতে বন্ধ হওয়া শোরুম টি নতুনভাবে নতুন পণ্যে সাজালেন উদ্যোক্তা দিলরুবা তালহা। রাজধানীর পিংক সিটি তে পঞ্চম তলায় তার একটি শো রুম ছিল। প্রায় এক বছর আগে তিনি এটি দিয়েছিলেন। করোনার কারণে গত কয়েক মাস যাবত ক্রেতা না থাকায় বন্ধ রাখা শো-রুমটি আরও বেশী জমকালো ভাবে নিচ তলায় চালু করলেন গত শুক্রবার থেকে।
উদ্যোক্তা দিলরুবা তালহা বলেন, “কেনাবেচা না থাকায় আগের শোরুমটি বন্ধ করে দিতে হয় কিন্তু এখন অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে এসেছি আমরা তাই নতুনভাবে নিচতলায় অনেক নতুন নতুন পণ্য নিয়ে শুরু করলাম। নতুন কালেকশন গুলোর মাঝে থাকবে ফ্যামিলি সেট, ব্রাইডাল লেহেঙ্গা, মসলিন হ্যান্ড পেইন্ট গাউন, পাঞ্জাবি, ছোট বাচ্চাদের ড্রেস, হ্যান্ডলুম তাঁতের শাড়ি, জামদানি – মসলিন এর উপর হ্যান্ড পেইন্ট, কারচুপির নতুন নতুন কিছু ডিজাইন, ফালগুনের নতুন আইটেম নিয়েও কাজ শুরু করেছি”।
ছোটবেলায় মায়ের কাজ দেখেই হাতেখড়ি হয় তার। নিজের ড্রেস নিজেই বানানোর পাশাপাশি নিকটাত্মীয় প্রতিবেশিদের ড্রেসে হাতের কাজ করে দিতেন শখের বসেই। সেই থেকে শুরু।
সরকারি কর্মকর্তার সাথে বিয়ে অতঃপর দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার সুবাদে যেখানেই গিয়েছেন স্থানীয় নারীদের সাথে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন রকম শাড়ী, টু পিস, থ্রি পিস, বিছানার চাদর, পর্দা তৈরী করেছেন এবং নতুন কাজ শিখেছেন। ২০১০ সালে ৯৯ পিস পর্দা অর্ডার পাওয়ার মাধ্যমে তার বানিজ্যিক ভাবে কাজ শুরু। কাজের উপর নির্ভর করে তার কখনও ৫০ জন কর্মী নিযুক্ত থাকেন।
তিনি মূলত দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করেন। নকশীকাঁথা, নকশী শাল, টু পিস, থ্রি পিস নকশী ডিজাইনে বাহারী সিল্ক শাড়ী, মসলিনে এবং জামদানীতে হ্যান্ডপেইন্ট, এমব্রয়ডারি, হাতের সেলায়, সিল্ক, সুতি শাড়িতেও নান্দনিক ডিজাইন ফুটিয়ে তোলেন এই সফল উদ্যোক্তা।
দেশ এবং বিদেশে বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণ করে অনেক সুনাম এবং পুরস্কার অর্জন করেছেন এই উদ্যোক্তা। নিয়েছেন ছোট-বড় অনেক প্রশিক্ষণ। করোনার এই সময় কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। অনলাইনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, ডিজাইন শেখা থেকে শুরু করে সিটি আলোর তত্ত্বাবধানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে খুব দ্রুতই তিনি ইংল্যান্ডের একটি মেলায় অংশগ্রহণ করবেন বলে জানান এই সফল উদ্যোক্তা দিলরুবা তালহা।
বিপ্লব আহসান