প্রশিক্ষণ অনেকে নেন, সফল হন আজিজের মতো উদ্যোক্তারা

0
উদ্যোক্তা আব্দুল আজিজ

কুমিল্লা জেলার ময়নামতির সিন্দূরিয়া এলাকার মরহুম আব্দুর রহিমের ছেলে আব্দুল আজিজ। ভিক্টোরিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। চাকরি করছেন খাদ্য অধিদপ্তরের আশুগঞ্জ সাইলোতে। এখন কর্মরত জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়, কুমিল্লায়।

সরকারি চাকরির পাশাপাশি মাশরুম চাষে সাফল্য পেয়েছেন আব্দুল আজিজ। এভাবে উদ্যোক্তা হওয়ার পেছনে কাজ করেছে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ। ২০০৮ সালে মাশরুমের উপর প্রথমে তিনদিন এবং পরে দুই মাসের একটি প্রশিক্ষণ নেন। তখন বুঝতে পারলেন, মাশরুম চাষের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই আয়ের সুযোগ রয়েছে, এর মাধ্যমে মানুষের সেবা করার সুযোগও পাবেন তিনি। এ কাজে পুঁজিও কম লাগে। সেই ভাবনা থেকেই শুরু হয় আব্দুল আজিজের মাশরুম চাষের উদ্যোগ। বন্ধুদের সহায়তায় ১০ হাজার দিয়ে শুরু করে এখন পাঁচ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে তার উদ্যোগে৷

মেয়ে রিফা তামান্নার নামে আব্দুল আজিজ তার উদ্যোগের নাম দেন রিফা মাশরুম প্রজেক্ট। রিফা শপ বিডি নামে একটি অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমেও তিনি তার উদ্যোগ পরিচালনা করছেন। বর্তমানে ১০ জন পার্টটাইম কাজ করে থাকেন তার প্রকল্পে। আব্দুল আজিজ বাড়িতেই তার মাশরুমের প্রজেক্ট গড়ে তুলেছেন। চাহিদা বেশি হওয়ার কারণে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কুমিল্লা শাখায়ও কাজের প্রস্ততি নিচ্ছেন।

কী ধরনের মাশরুম নিয়ে কাজ করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার এখানে নানা ধরনের মাশরুম এবং মাশরুমের আইটেম রয়েছে। আমি ওয়েস্টার মাশরুম, ঋষি মাশরুম, মাশরুমের চা, মাশরুমের কফি

মাশরুমের আচার ছাড়াও কালোজিরার আচার, বড়ইপাতার চা নিয়ে কাজ করছি।”

তিনি বলেন: মাশরুম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। বিশেষ করে চা খেলে ডায়াবেটিস, এসিডিটি, হৃদরোগ, এলার্জি বা চর্ম রোগসহ আরো অনেক রোগের উপকার হয়ে থাকে। যা প্রমাণিত।

এরই মধ্যে আব্দুল আজিজ ঢাকা, কুষ্টিয়া, বগুড়া, নওগাঁ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, জামালপুরে তার পণ্য পাঠিয়েছেন। মাসে তার বিক্রি প্রায় ৫০ হাজারের মতো। তবে আগামী মাস থেকে দুই লাখ টাকা বিক্রির টার্গেট নিয়ে কাজে নেমেছেন।

তিনি বলেন, ‘‘কোন কাজকে ছোট করে না দেখে, ইগো পরিবর্তন করে কাজে মনোযোগী হতে হবে। দীর্ঘ ১২ বছরে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। কখনও অনেক ক্ষতির শিকার হয়েছি। এখন আমি অনেক অনেক ভালো আছি। সাথে শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছি ও মানুষের রোগমুক্তির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। এটাই আমার আনন্দের বিষয়।”

ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে উদ্যোক্তা আব্দুল আজিজ বলেন: প্রতিটি জেলায় ৫ জন করে প্রতিনিধি নিয়োগ করতে চাই। বেকারত্ব দূর করে সমাজের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যেতে চাই। মাশরুম নিয়ে কেউ কাজ করতে চাইলে আমি সবসময় সহযোগিতা করতে চেষ্টা করবো, ইনশাআল্লাহ।

সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here