নিজের ডিজাইনকৃত শাড়িতে উদ্যোক্তা মৌসুমী

রাজশাহী চারুকলা প্রিন্ট মেকিং ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করার সময় নিজের পোষাক নিজেই ডিজাইন করতেন মৌসুমী।
পড়াশোনার পাট চুকিয়ে ঢাকা এসে ফ্রিল্যান্স কাজ শুরু করলেন, সেট ডিজাইন-কস্টিউম ডিজাইন এর কাজ করা হলো বেশ কয়েকটা।
বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলে এসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রাম ডিজাইনার একটি প্রোজেক্টে কাজ শুরু করলেন ডিজাইনার মৌসুমী। কস্টিউমস এবং গ্রুমিং বেশ খাটুনি করেই পুরো প্রজেক্ট সম্পন্ন করা হলো এক বছরের মেয়াদে।
প্রজেক্ট শেষ, আবারও ফ্রিল্যান্সার। শত শত কাজ করলেন নানা ইভেন্ট এবং প্রোডাকশন ও ডিজাইনে। শত শত সড়া অর্ডার এবং ডিজাইন এর কাজ থেকে ওয়াল ইন্টেরিয়র ডিজাইন কিংবা পেইন্টিং আউটলুক দিতে ব্যস্ত সময় পার হয় তরুণ ডিজাইনার উদ্যোক্তার।

ডিজাইন-শিল্পী

একটি ক্রিয়েটিভ হাউজ এর ক্রিয়েটিভ বিভাগের দ্বায়িত্বভার গ্রহন করলেন মৌসুমী, পাশাপাশি চললো ফ্রিল্যান্সিং।
অনেকদিন ধরেই বাণিজ্যিকভাবে নিজের ডিজাইন করা পোষাক এবং ক্র্যাফট আইটেম গুলো নিয়ে নিজের উদ্যোগ নেবার ইচ্ছে থাকলেও তা করা হয়ে ওঠেনা। কিন্তু নিজের উদ্যোগে উদ্যোগী হতে চান মৌসুমী।

ডিজাইন-তানিশা তানি

২০১৮ সালে মহান বিজয় দিবসে, ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক ভাষণ নিয়ে প্রথম শাড়িটী ডিজাইন করলেন মৌসুমী।
জেবুন্নাহার, এক জুনিয়র পার্টনার হলেন। এবং দুজনে একসাথে সম্পন্ন করলেন সাহস নিয়ে শাড়ি ডিজাইনের কাজটি। ভীষণ সমাদৃত হলো মৌসুমী-জেবুন্নাহারের এই চিন্তা এবং ডিজাইনকৃত শাড়িটি।

ডিজাইন-তানিশা তানি

ফেসবুকে কামানোর চিন্তা খেলে যায় মৌসুমীর মাথায়। তারপর ডিঙ্গি নামের পেজটি খুললেন, নিজের প্রোফাইলেও একই সাথে নিজের তৈরি পণ্য দিতে থাকলেন হাজার হাজার সম্ভাব্য ক্রেতার মাঝে।
প্রোফাইলে নিজের পণ্যের ছবিগুলো দেবার পর অনেক জিজ্ঞাসা এবং সাড়া মিললো। শুরু হলো পণ্যের বিক্রি।

প্রথম দিকে ভীষণ কাস্টম মেড ডিজাইনগুলো চড়া দামে থাকলে সেখানে সাড়া মিলতে শুরু করে। পরবর্তীতে থিম এ ডিজাইন করা নিজেদের পণ্যগুলো ক্রেতাদের জন্য একটু কমিয়ে দিলেন মৌসুমী, জেবুন্নাহার এবং ইদা।

ডিজাইন-তানিশা তানি

অর্ডার আসতে শুরু করে। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, শিশুদের পোষাক ইত্যাদি নানান পোষাকের কাজ করছেন মৌসুমী।
ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ১২ মাসে ১৩ পার্বনের নানান উৎসবের ডিজাইন এবং অর্ডার নিয়ে থাকেন মৌসুমী ও তার টিম। টিমের অন্যান্য সদস্যরা হলেন-আহমেদ মারুফ, কান্তা, ইফা, শিল্পী, সংগীতা, আহমেদুর, তানিশা তানি এবং আরজ হোসাইন। বাংলাদেশ নিয়ে তৈরি করেন পোষাক। অনলাইনে ফেসবুক কর্মীরা ডিঙ্গি পেইজে তার সব কার্যক্রম প্রতিষ্ঠান করেন।

ডিজাইন-তানিশা তানি

মহান মুক্তিযুদ্ধের পরে জন্ম, শিক্ষাগ্রহণ এবং বেড়ে ওঠা। মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছেন মুক্তিযোদ্ধা সামনে দেখেছেন। কিন্তু মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখেননি।
৭ই মার্চের ঐতিহাসিক যে ভাষণ, যে ভাষণ আলোড়িত করেছে, আলোকিত করেছে মুক্তিকামী মানুষকে। মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে ঐক্যবদ্ধ করেছে বাঙ্গালী জাতিকে।

স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক সেই ভাষণের থিম নিয়ে ডিজাইন করা শাড়িটি বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেয়ার স্বপ্ন দেখেন তরুণ উদ্যোক্তা ডিজাইনার মৌসুমী-জেবুন্নাহার।

 

 

খুরশিদা পারভীন সুমী

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here