উদ্যোক্তা আবিদুর রহমান, লন্ডন এক্সটার-ইউনিভার্সিটি থেকে ফ্যাশান ডিজাইনের উপর পড়াশুনা সম্পূর্ণ করেছেন। তার প্রতিষ্ঠানের নাম আজমেরী অ্যান্ড আতীয়া হ্যান্ডিক্রাফট।
তিনি লন্ডনে থাকতে বিদেশের মাটি থেকে দেশের জন্য চিন্তা করতেন, কি করা যায় কি ব্যবসা করলে ভালো মুনাফা অর্জন করা যায় এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এবার দেশে ফেরার পালা, ২০১৩ সালে লন্ডন থেকে দেশে আসেন।
দেশে ফেরার পর দেখলেন যে, সরকার জুট নিয়ে অনেক কাজ করছে, দেশ এবং দেশের বাহিরে জুটের পণ্য ছড়িয়ে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর, সরকারের এমন উদ্যোগ দেখে উদ্যোক্তার মনে স্বপ্নজাল বুনলো কি ভাবে নিজের ব্যবসার শুরু করা যায়।
স্ত্রীর সাথে আলোচনা করলেন, মনস্থির করলেন দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করবেন। তিনি মনে করলেন যে অনেক উদ্যোক্তা তো বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরী করছেন,
তো জুটের হোম ডেকরের পণ্য তৈরী করতে শুরু করলেন আবিদুর রহমান।
পাটের পণ্য গুলো পরিবেশ বান্ধব, পণ্য গুলো তৈরী করতে শুরু করলেন, জুটের হাত পাখা, ঝারবাতি, কলমদানি, ফুলদানি, ফাইল বক্স, অর্ণমেন্ট বক্স,চাবির রিং, এছাড়া কমার্শিয়াল শাখার বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র।
আবিদুর রহমান উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ব্যবসায় ভালো সাড়া মিলল, দিন দিন পণ্যের সংখ্যা বাড়তে থাকে। আমার কারখানাতে ২০ জন নারী কর্মরত আছেন, আমি পণ্যের সব রকম ডিজাইন নিজে করেন। কর্মীদের নিজে ট্রেনিং দিয়ে থাকেন, আমার স্ত্রীর ও ব্যবসায় সহযোদ্ধা কর্মীদের এই ট্রেনিং করার ফলে তাদের কাজে কর্মদক্ষতা আরো বৃদ্ধি পায়।
তিনি বলেন নারীরা এখন বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছে, নারীরা বসে নেই, নারীরা জুটের কাজের সাথে জড়িত হয়ে জুট সেক্টর অনেক এগিয়েছে।
উদ্যোক্তা আরো বলেন, যখন তিনি বিদেশে ছিলেন তিনি দেখছেন তারা অনেক পাট পণ্য ব্যবহার করতেন, লন্ডনে পাট পণ্যের অনেক বড় বাজার আছে, তাই আমাদের দেশ ও এই বাজার ধরতে পারলে অনেক লাভবান হবে, সাথে সাথে উদ্যোক্তগণেরা লাভবান হবেন। আমাদের নারায়গঞ্জ এবং নরসিংদী পাটের পণ্যের জন্য রাজা বলা চলে, তাহলে আমরা পারবো না কেন, আমাদের দেশে এতো সুন্দর সুন্দর পাট পণ্য বিদেশের বাজারে লুফে নিবে। এছাড়া দেশে ও জুটের ব্যবহার শুরু হয়েছে ব্যাপক হাড়ে, আমাদের পাট পণ্যের ব্যবহার ছড়িয়েছে বিশ্ব দরবারেও।
কোরবান আষাঢ়