পর্যায়ক্রমে বিজেএমসি’র সকল বন্ধ মিল চালু করা হবে: পাটমন্ত্রী

0

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক, এমপি বলেছেন, এ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি)’র সকল বন্ধ মিল চালু করা হবে।

দুপুরে চট্টগ্রামস্থ আমিন জুটমিল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি পাটশিল্প নিয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান।

পরিদর্শনকালে চট্টগ্রামস্থ বিজেএমসি’র ঊর্ধতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি’র) ভাড়াভিত্তিক মিলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন ও উৎপাদিত পাটপণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব মিলে  নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে তিনটি জুট মিল (বাংলাদেশ জুট মিলস্ লি:, নরসিংদী এবং কেএফডি জুট মিলস্ লি:, চট্টগ্রাম, জাতীয় জুটমিল সিরাজগঞ্জ) ভাড়াভিত্তিক ইজারা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। আরো তিনটি জুট মিলের লিজ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ভাড়াভিত্তিক লিজ প্রদানকৃত মিলসমূহে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে এবং এ ক্ষেত্রে অবসানকৃত শ্রমিকরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, সরকারি সিদ্ধান্তে পাটকলগুলোর বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও পাটখাত পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ১ জুলাই ২০২০ থেকে বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুট মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

২৫টি জুট মিলের সকল স্থায়ী শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি, পিএফ, ছুটি নগদায়নসহ সমুদয় পাওনা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে শ্রমিকদের প্রায় ৩,৫৬৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, যাচাই করা বদলি শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি, মামলা নিষ্পত্তি/প্রত্যাহারজনিত স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা, মিল চলাকালীন সময়ের ৬৪ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারিদের গ্রাচ্যুইটিসহ সকল দায় এবং কাঁচাপাট ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে এ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।

ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here