তরুণ উদ্যোক্তা মোঃ শাহরিয়ার খান

রাজধানীর নাগরিক ব্যস্ততায় নিজস্ব পরিবহনকে নিরাপদে যথাস্থানে পার্ক করতে পারাটা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। একটি ভুল পার্কিং একদিকে যেমন ট্রাফিক জ্যাম বাড়িয়ে দিতে পারে কয়েকগুণ, আরেকদিকে জন্ম দিতে পারে নানান বিব্রতকর পরিস্থিতির। আর এই সমস্যা সমাধানের প্রয়াস নিয়ে তরুণ উদ্যোক্তা মোঃ শাহরিয়ার খানের উদ্যোগ “নেক্সপার্ক” বাংলাদেশের সর্বপ্রথম শেয়ারিং পার্কিং প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।

নেক্সপার্ক টিম তৈরি করেছে বাংলাদেশের প্রথম পার্কিং অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন, “নেক্সপার্ক” শেয়ারিং পার্কিং প্লাটফর্ম। যাত্রা শুরু ২০১৭ সাল থেকে। কিন্তু তার কয়েকবছর আগে থেকেই উদ্যোক্তা পার্কিং সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে গেছেন। এই তথ্যগুলোকে সমন্বয়ের পর দেখা গেলো যে, শহরজুড়ে এমন অনেক পার্কিং স্পেস আছে যা ফাঁকা পড়ে কিন্তু ব্যবহার করা হচ্ছে না। তখন এই বিষয়টাকে উদ্যোক্তা সমাধান হিসেবে বাস্তবায়নের চেষ্টায় এগিয়ে গেলেন নিজের পরিকল্পনায়।

‘নেক্সপার্ক’ টিমের সদস্যগণ

মোঃ শাহরিয়ার খান জ্যাম সৃষ্টির কারন সম্পর্কে উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, “পার্কিং সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান না থাকা এবং শহরজুড়ে পার্কিং স্পেস থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা না থাকা। এসবের সমাধানের সন্ধান করতে গিয়েই নেক্সপার্কের আইডিয়া আসে এবং প্রাপ্ত সমাধানটিকে বাস্তবায়নের চেষ্টায় এগিয়ে যাই নিজের পরিকল্পনায়।”

তিনি আরো বলেন, “নেক্সপার্ক টিম বিভিন্ন গ্যারেজের পড়ে থাকা ফাঁকা জায়গাগুলো ব্যবহার করে থাকে। পার্কিং সমস্যা নিরসনের সাথে সাথে গ্যারেজের মালিকগণের প্রতিমাসে অতিরিক্ত আয় করবার সুযোগও সৃষ্টি করেছে”।

পার্কিং স্পেস সন্ধানের কাজে ব্যস্ত সহকর্মীগণ

নেক্সপার্ক পার্কিং অ্যাপ্লিকেশনে রয়েছে ১ লাখেরও বেশি পার্কিং ইনফর্মেশন, ৩০০০ এর বেশি মাসিক পার্কিং ইনফর্মেশন, ২০০ এর বেশি পার্টনার্স নেটওয়ার্ক, ৫টি বিভাগীয় শহরে কভারেজ এবং  ৫০০ এর বেশি ইমার্জেন্সি লোকেশন সুবিধা।

‘নেক্সপার্ক’ অফিসে এর কর্মী ও সেবাগ্রাহক

উদ্যোক্তা তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানান, সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা পেলে নেক্সপার্ক টিম সিটি কর্পোরেশনের সাথে যুক্ত হয়ে বিস্তরভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করে জনগণকে পার্কিং সুবিধা দিতে চায়।

জেবুননেসা প্রীতি
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here