ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রকল্পের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে এর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান জাপানের মিতসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপ (MHI) এবং চীনের চায়না কনসোর্টিয়াম (CC7).
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি’র সাথে প্রতিষ্ঠান দু’টির প্রতিনিধিরা বৈঠক করে অগ্রগতির কথা জানান।
সেসময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান শাহ মো: ইমদাদুল হক, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: নূরুল আলম এবং এসএম আলম, যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও মো: আব্দুল ওয়াহেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চীন ও জাপানি কোম্পানির প্রতিনিধিরা নরসংদীর পলাশে নির্মাণাধীন ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা’প্রকল্পের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রীকে জানান, আগামী বছর নভেম্বর মাসে সার উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হবে। প্রতিনিধিদল প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যমান কিছু চ্যালেঞ্জের বিষয়েও মন্ত্রীকে অবহিত করেন। পাশাপাশি জাপানি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জে একটি অত্যাধুনিক ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
শিল্পমন্ত্রী আশুগঞ্জে উচ্চ ক্ষমতার অত্যাধুনিক সার কারখানা স্থাপনের জাপানি প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে শীঘ্রই সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) শুরু করতে সমঝোতা স্বাক্ষরের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
তিনি প্রতিনিধিদলকে নির্মাণাধীন ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রকল্প’ বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ধরনেরর সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, যে সকল বিষয়ে সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী ২০২৩ সালে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করি।
ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা