জাতীয় সংসদের স্পিকার এইচ.ই. ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক জীবনে ও নারীর পূর্ণ সম্ভাবনাকে পূরণ করতে বাধা দেয় এমন কাঠামোগত বাধাগুলি মোকাবিলা করতে হবে।
সমাজে নারীর ভূমিকার গুরুত্ব সম্পর্কে স্পিকার বলেন, টেকসই উন্নয়নের গতি বজায় রাখার জন্য আমাদের এই কার্যকলাপের প্রয়োজন, বিশেষ করে যখন আমরা একটি এলডিসি দেশের অবস্থা থেকে, আরো উন্নতির দিকে অগ্রসর হচ্ছি।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) জেন্ডার সমতার অগ্রগতির ওপর জাতিসংঘ ও বাংলাদেশি নারী নেতৃবৃন্দের যৌথ গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘ কর্তৃক আয়োজিত একটি গোলটেবিলে অংশ নেন সরকারি, বেসরকারি সেক্টর, একাডেমিয়া, মিডিয়া এবং এনজিও সেক্টরে কর্মরত ৩০জন বিশিষ্ট নারী নেত্রী।
ওই বৈঠকে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের প্রশংসা করে বলেন, ‘এই অগ্রগতি অনেকাংশে নারীদের অসাধারণ অবদান দ্বারা চালিত হয়েছে। গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশ তার উন্নয়ন যাত্রায় অবিশ্বাস্য সাফল্য অর্জন করেছে। জন জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ, প্রতিনিধিত্ব এবং নেতৃত্ব উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু, একটি বিশাল প্রয়োজনীয় সম্ভাবনা এখনো অপূরণীয় রয়েছে, যা শুধুমাত্র নারী ও মেয়েদের জন্য বিনিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা যাবে।
আর্থিক প্রণোদনার কথা উল্লেখ্য করে গোয়েন লুইস জানান, নারীদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চাকরি এবং সামাজিক সুরক্ষা, উৎপাদন ক্ষমতার জন্য আমাদের তহবিল দরকার। নারীদের বৈষম্য থেকে সুরক্ষার প্রয়োজন। এই বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নারী ও মেয়েরা, নিজেদের পরিবর্তনের দায়িত্ব নিয়ে, জনজীবনে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।’ গোলটেবিলে অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের বক্তব্যে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, তাঁদের সফলতা এবং যে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন- সে বিষয়ে তুলে ধরেন। তাঁরা নারীর প্রতিনিধিত্ব ও নেতৃত্বের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করেন। সবশেষে, তাঁরা বাংলাদেশে জেন্ডার সমতাকে এগিয়ে নিতে যৌথভাবে এই সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার জন্য পদক্ষেপগুলি চিহ্নিত করেন।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ড, ইউএন উইমেন প্রতিনিধি গীতাঞ্জলি সিং এবং ইউএনএফপিএ প্রতিনিধি ক্রিস্টিন ব্লোখস।
ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা