নাটোরে আজ রোববার হাইটেক পার্কের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। সেসময় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
ভারত সরকারের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে জেলা পর্যায়ে আইটি পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় জেলার সিংড়া উপজেলার শেরকোলে আইটি পার্কটি স্থাপন করা হচ্ছে। ৯ দশমিক ২৮ একর জমির উপরে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ১৯০ কোটি টাকা খরচে এর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করবে।
আগামী দু’বছরের মধ্যে পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। পার্কটি চালু হলে প্রতিবছর এক হাজার তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং প্রত্যক্ষভাবে ৩ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এছাড়াও প্রতিমন্ত্রী এ কম্পাউন্ডে একটি অত্যাধুনিক সিনেপ্লেক্স এবং ডরমিটরি ভবনের ফলক উন্মোচন করেন। হাইটেক পার্কে ষ্টিল স্ট্রাকচারের সাত তলা মাল্টিটেনেন্ট ভবন, তিন তলা ডরমিটরি ভবন, একটি সিনেপ্লেক্স ভবন ও খেলার মাঠ থাকছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন পরবর্ত্তী সিংড়া উপজেলা মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধান ও পরামর্শে প্রযুক্তির উদ্ভাবনী সংস্কৃতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এখন আর বাংলাদেশ শ্রমঘন অর্থনীতির দেশ নয়, তথ্য প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ একটি দেশ।
তিনি বলেন: কায়িক পরিশ্রমের জন্যে কষ্টকর প্রবাস জীবন নয়, তথ্য প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এদেশের তরুণ-তরুণীরা ঘরে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছেন। তথ্য প্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তথ্য প্রযুক্তি খাতে ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করছে বাংলাদেশ।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, নাটোর আইটি পার্কটি উচ্চপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানবসস্পদ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শুরু থেকেই অভিন্ন ইতিহাস, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এই বন্ধন আগামীদিনে আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ১২টি জেলায় হাই-টেক পার্ক স্থাপন কার্যক্রমে বিনিয়োগসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে যৌথভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ-ভারত। এসব পার্ক স্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন হলে এদেশের তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থান হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরও উন্নত হবে এবং অর্থনৈতিক অংশীরারিত্ব জোরদার হবে।
অনুষ্ঠান শেষে প্রযুক্তিতে সফল ১৯জন উদ্যোক্তার হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী।
ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে প্রতিমন্ত্রী পলক ভারতীয় হাই কমিশনারকে সাথে নিয়ে নির্মাণাধীন হাইটেক পার্ক প্রাঙ্গণে গাছের চারা রোপণ করেন।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা