আনারকলির “ডাস্ট কোট”- ব্লাউজে রেভ্যুলেশন

0
উদ্যোক্তা আনার কলি খান

ইডেন কলেজ থেকে মাস্টার্স ইন মাথমেটিক্স আনার কলি খান। ২০০৫ থেকে ২০১২ গ্রামীণফোনে,  ২০১২ থেকে ২০১৯ লিংক থ্রি টেকনোলজিসে ডেপুটি ম্যানেজার। এরপর অল্প বিরতি দিয়ে ধানমন্ডি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ম্যাথস অ্যান্ড  কম্পিউটার সায়েন্সে শিক্ষকতা  যা এখনও চলমান।

কিন্তু এর মধ্যেই নতুন কিছু। বন্ধু রিফাত লায়লা যিনি ‘মেঘদূত’ নামে উদ্যোগের স্বত্ত্বাধিকারী, তার উৎসাহে কোভিডের শুরুর দিকে অনলাইন-বেইজড কাজের শুরু।

উদ্যোক্তার নিজের ব্লাউজগুলোর ৮০ শতাংশই কিছুটা ভিন্নরকম ছিল। তাই বন্ধু ভিন্নরকম ব্লাউজকে উদ্যোগ হিসেবে নিয়ে অনলাইন প্রফেশনাল গ্রুপে কিছু বিজ্ঞাপন করার কথা বললেন। তিনি সেটা করলেন এবং নিজের অনলাইন পেইজ তৈরির আগেই অর্ডারও পেয়ে গেলেন।

শুরুতেই আনার কলি খান ভেবেছেন যে তিনি ইউনিক এবং এলিগ্যান্ট একটা অ্যাটায়ার দেবেন যা পরলে নিজেকে অনন্য  লাগবে। গ্রাহককে সেই ফ্লেভার দিতে চাওয়াই তার উদ্যোক্তা হওয়ার প্রধান উদ্দেশ্য।

২০২০ এর ২৪ মে থেকে তার অনলাইন পেইজের পথচলা।
ব্লাউজ তৈরি হচ্ছে তার উদ্যোগে, সাথে কেইপ এবং বেল্ট। Dust Coat: The  ব্লাউজ নামে মূল উদ্যোগের পাশাপাশি RayRuz নামে একটা সিস্টার কনসার্ন আছে। সেটায় সবরকম অ্যাটায়ার, বিশেষ করে শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার-কামিজ পাওয়া যায়।

উদ্যোক্তা জীবনে বাধা অনেক ছিল। দক্ষ কারিগর পাওয়া ছিল খুবই মুশকিলের ব্যাপার। তাদের স্থায়িত্বও কম যা উদ্যোক্তাকে  অনেক ভোগাতো। কিন্তু তিনি সব সমস্যার সমাধান করতে পেরেছেন।

তার উদ্যোগে এখন ৩-৪ জন কর্মী আছেন।

দেশের ভেতরে অনেক জেলাতেই তার পণ্য যাচ্ছে। বেশি যাচ্ছে চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, বাহ্মণবাড়িয়া, যশোর, রাঙ্গামাটি এবং সিলেটে। আর দেশের বাইরে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, লন্ডন, সুইডেন, দুবাইতে যাচ্ছে তার পণ্য।

উদ্যোগের শুরুতে সহযোগিতা পেয়েছেন অনেকেরই। বিশেষ করে বন্ধু রিফাত লায়লা (উদ্যোক্তা- মেঘদূত) এবং আমিনা মোসতাফা সিভা- যিনি ডিরেক্টর এক্সপোজ ফার্নিচার- দুজন বন্ধুই শুরুর দিকে অনেক উৎসাহ দিয়েছেন। তাদের উৎসাহেই উদ্যেক্তা হবার সাহস পান তিনি।

উদ্যোগের লোগো তৈরি করেছেন তার একজন ছাত্র, নাম শিশির। ক্যারিং যে ব্যাগে করে তিনি পণ্য ডেলিভারি দেন– সেটা তিনি অন্য কোন ফ্যাশন হাউজে দেখেননি, অন্য কোথাও-ই না। এর পুরো আইডিয়া কনসেপ্ট পেয়েছেন বাদশা খালেদ অপু নামে এক বন্ধুর কাছ থেকে।

স্বামীর সহযোগিতাও পেয়েছেন আনার কলি খান সবসময়। এছাড়া তার বড় মেয়ে আইশা ইসলাম রাইদা শুরু থেকেই প্যাকেজিং এবং অ্যাকাউন্ট মেইন্টেইনে শতভাগ সহযোগিতা করেছে।

তরুণ প্রজন্মের জন্য তার পরামর্শ: নতুন কিছু চিন্তা করুন। অনেক কিছু আছে আমাদের চারপাশে। তাই সেসব নিয়ে ভাবুন এবং উদ্যোক্তা হয়ে উঠুন।

ভবিষ্যতে তার উদ্যোগকে তিনি আরও বড় করতে চান।এবং অনেক কর্মী নিয়োগ দিতে চান।

মাসুমা শারমিন সুমি
উদ্যেক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here