‘কুইন আইল্যান্ড অব বাংলাদেশ’ খ্যাত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ভোলা জেলা। দেশের সর্ব বৃহৎ নদী মেঘনার কুল ঘেঁষে অবস্থিত একটি জেলা হওয়ায় দেশের সিংহভাগ ইলিশের চাহিদা মেটে এই অঞ্চল থেকে। মৎস্য ব্যবসার সাথে বেশীর ভাগ মানুষ যুক্ত হলেও এখন অনেক উদ্যোক্তার সৃষ্টি হচ্ছে এই ভোলায়।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি এসব উদ্যোক্তাদের আরও বেগবান করার লক্ষ্যে তাদের পণ্যের প্রচার প্রসার এবং বিপণনের সুযোগ প্রদানের জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসন, ভোলা; বিসিক, ভোলা; চেম্বার অব কমার্স, ভোলা; নাসিব, ভোলা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় আজ ২২ফেব্রুয়ারি-২০২০, ৭ দিনব্যাপী “আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলা, ভোলা-২০২০” এর আয়োজন করা হয়েছে।
ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করা হয়েছে এই মেলার। মেলায় কমপক্ষে ৫০টি সুসজ্জিত বিভিন্ন পণ্যের স্টল, ক্রেতা-বিক্রেতা মিটিং বুথ, মিডিয়া সেন্টার এবং মেলায় আগত অতিথিগণ বসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য অনুষ্ঠান উপভোগ করার জন্য একটি সুসজ্জিত মঞ্চ তৈরি করাসহ আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কুইজ প্রতিযোগিতা; মেলার ৭দিন লোকজ খেলাধুলা এবং মেলা প্রাজ্ঞণে রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। মেলায় আকর্ষণীয় খেলা প্রদর্শনের জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলায় অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৩জন শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তা নির্বাচন করে ক্রেস্ট, সনদপত্র বিতরণ করা হবে এবং অন্যান্যদেরকে সনদপত্র প্রদান করা হবে।
এছাড়াও ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩.৩০ মিনিটে মেলা প্রাজ্ঞণে “ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে স্থানীয় পণ্যের প্রভাব, সমস্যা ও সম্ভাবনা” শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে।
আজ সকাল ১০.০০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি করা হয়। অতঃপর “আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলা, ভোলা-২০২০” এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
এসময়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোহাম্মদ মাসুদ আলম সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক,ভোলা। জনাব ফারুক আল মামন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব)। জনাব সরকার মোহাম্মদ কায়সার, পুলিশ সুপার ভোলা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব মোঃ সোহাগ হোসেন, উপ-ব্যবস্থাপক, বিসিক ভোলা। অমিতাভ অপু সাধারণ সম্পাদক, প্রেসক্লাব ভোলা। সুমন সাহা, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক এসএমই ফাউন্ডেশন। অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন প্যানেল চেয়ারম্যান জেলা পরিশোধ ভোলা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ আতাহার মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।
সকলের বক্তব্যে একটা কথা উঠে এসেছে যে এই মেলা মূলত বিক্রয়ের জন্য না বরং আঞ্চলিক এসব উদ্যোক্তাদের সাথে পরিচয় ঘটানো, তাদের সৃষ্টিকর্ম তুলে ধরা এবং অন্য জেলার উদ্যোক্তাদের সাথে একটা যোগসূত্র স্থাপন করা।
মেলার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে পুলিষ সুপার, ভোলা এর সার্বিক নির্দেশনায় পুলিশ ফোর্স ও রোস্টার অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার/চৌকিদারগণ দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া মেলায় আগত অতিথিদের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও রোভার স্কাউট নিয়োজিত থাকছে। মেলা চলাকালীন যে কোন দুর্ঘটনা বা অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের একটি ইউনিট অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রসহ সার্বক্ষণিক উপস্থিৎ আছে।
মেলা উন্মুক্ত থাকছে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং প্রবেশে কোন টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়নি।
বিপ্লব আহসান