তিতাস নদীর তীরে ঐতিহ্যবাহী বারুণী মেলা

0

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী ভাদুঘরের বান্নি অর্থাৎ বারুণী মেলা ২০২৩। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুণ্য স্নানের মধ্যদিয়ে মেলা শুরু হয়। যদিও প্রতি বছর ১৪ বৈশাখ এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়, তবে ঠিক কত বছর আগে এ মেলা শুরু হয়েছিল, তার সঠিক তথ্য কারো জানা নেই।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয়রা জানান, প্রতিবছর বান্নি মেলাকে কেন্দ্র করে ভাদুঘর এলাকার প্রায় বাড়িতে চলে উৎসবের আমেজ। দূর-দূরান্ত থেকে আত্মীয়-স্বজনরা বেড়াতে আসেন। বাড়িতে বাড়িতে বানানো হয় নানা ধরনের পিঠা। তিতাস নদীর পাড়ে বসে বিভিন্ন পণ্যের পসরা।

মেলায় এসে এক যুবক বলেন, ‘বৈশাখ মাসে জেলার বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হলেও ভাদুঘরের বান্নি মেলার ঐতিহ্য রয়েছে। ছোটবেলায় দেখেছি পরিবারের সদস্যরা বান্নিতে আসতেন। বুঝতে শেখার পর বাপ-দাদাদের সঙ্গে এ মেলায় আসতাম। এখন আমরা আসি প্রতিবছর। তবে মেলার সেই জৌলুস আর নেই।’

স্থানীয়দের মধ্যে আরেকজন বলেন, আগে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেলায় লোকে-লোকারণ্য হয়ে যেতো। বাস-ট্রাকে করে মানুষ আসতে দেখেছি।
এখন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সকালে স্নানের পর বেশিরভাগই চলে যান। তবে এবার বিকেলের দিকে জমজমাট ছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন বলেন, ঐতিহ্যবাহী বান্নি মেলাকে ঘিরে নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন ছিল। দিনব্যাপী পুলিশ সদস্যরা মেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাসের তীর ভাদুঘরে শত বছরের ঐতিহ্যবাহি বারুণী মেলা স্থানীয়দের কাছে ভাদুঘরের বান্নি নামে পরিচিত। দিনব্যাপী এ মেলাতে প্রচুর লোক সমাগম ঘটেছে। পুরো এলাকাজুড়ে যেন উৎসবের আমেজ বিরাজ করেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গরু, হাতি, ঘোড়া, উট, বক, পুতুল ইত্যাদি মাটির তৈরি খেলনা। দেশীয় বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ছাড়াও গৃহস্থালি সামগ্রীর অনেক জিনিস ছিল। এছাড়াও গ্রাম বাংলার বিভিন্ন মুখরোচক খাবার দোকান ছিল। ক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন সামগ্রী ঘুরে ঘুরে কিনে নিয়ে গেছেন।

ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here