জাতীয় তরুণ উদ্যোক্তা সম্মেলনে একসাথে এতোজন তরুণ মিলিত হয়ে তাদের নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি, একজনের সাফল্যের গল্প আরেকজনের কাছ থেকে শোনা, এবং সেইভাবে শেখার জন্য এ এক বিরাট প্ল্যাটফর্ম। আর এ প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের তরুণরা পেয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমানকে।
এই আয়োজনে উদ্যোক্তা বার্তায় জনাব আতিউর রহমানের দেওয়া সাক্ষাতকারে উঠে আসে তরুণদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য, যা একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনার চলার পথকে করবে সুগম, যোগাবে অনুপ্রেরণা।
জাতীয় আয়োজনের মঞ্চে স্পীকার যখন কথা বলছে, উদ্যোক্তাদের চলার পথের মূল সমস্যাগুলোই তখন তারা তুলে ধরছেন। যেমন একটা বড় সমস্যা তরুণদের যে তারা বেশিরভাগ সময়ে ট্রেড লাইসেন্স করতে পাচ্ছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ জনাব আতিউর রহমান বলেন, “ট্রেড লাইসেন্স করতে অনেক কষ্ট হয়, এইটা একটা সমস্যা যেটা আমার মনে হয়, যারা ট্রেড লাইসেন্স দেন তাদের সাথে আলাপ করা দরকার যে অনলাইনের ট্রেড লাইসেন্স কেনো পাওয়া যাবে না? কারণ নির্ধারণ করে একে গুছিয়ে নেয়াটাও একটা কাজ।”
উদ্যোক্তা বার্তার সাথে তার আলোচনায় উদ্যোক্তাদের দ্বিতীয় সমস্যা হিসেবে উঠে এসেছে অর্থায়নের বিষয়টি। অনেকে আলাপের পরেও যেন এর সমাধান পাওয়া যাচ্ছেনা! কিন্তু জনাব আতিউর রহমান পোষন করছেন ভিন্নমত। তিনি বলেন, “আমার মনে হয় উদ্যোক্তাদের শুরুতেই অর্থায়ন নিয়ে অত চিন্তা করার দরকার নেই। ছোট ছোট কাজ শুরু করে আস্তে আস্তে বড় হওয়া এবং যারা অর্থ দেয় তাদেরও তো এন্ট্রারপ্রেনিওর দরকার। আর নূন্যতম ক্যাপিটাল যা দরকার, সেটা নিজের তৈরি করতে হবে।
কাজ শুরু করে দিয়ে দেখুন আপনার আইডিয়া যদি ক্লিক করে তখন এইটা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যাবে। ডিজিটাল টেকনোলোজিতে খুব বেশি পয়সা লাগে না। আপনার একটা পরিচয় দরকার, একটা ঠিকানা দরকার, যেখানে নিজের বাড়ির ঠিকানাকে ব্যবহার করুন, অথবা আজকাল বিভিন্ন জায়গায় এমন অনেক কোম্পানি আছে যেখানে আপনি ইচ্ছে করলেই ঠিকানা ভাড়া, একটা অফিস কক্ষ ভাড়া নিতে পারেন! এমন করে অনেক কিছু নিয়েই আগানো সম্ভব। প্রয়োজন কেবল উদ্যোগের। শুভকামনা সকল উদ্যোক্তাদের জন্য।”
সাদিয়া সূচনা