ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি বিভাগে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে আজ একজন সফল ক্যালিগ্রাফি আর্টিস্ট উদ্যোক্তা উসামা হক

0

বর্তমানে পেইন্টিং জগতে ক্যালিগ্রাফি এক অন্য রকম মাত্রা যুক্ত করেছে। রঙিন তুলির ছোঁয়ায় বিভিন্ন ফন্টের সুন্দর লিখুনীকেই বলা হয় ক্যালিগ্রাফি। ক্যালিগ্রাফি করেও যে দেশ বিদেশ থেকে সুনাম অর্জন করা যায় তারই প্রমাণ দিলেন উদ্যোক্তা উসামা হক।

দোহায় অনুষ্ঠিত ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড শীর্ষক প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নিয়েছিলেন উদ্যোক্তা উসামা হক। এছাড়াও নিউ ইয়র্কে এক মসজিদের জন্য তাঁর চারটি ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং নেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালে সোনালী ব্যাংকের ক্যালেন্ডারটি সাজানো হয় উসামার ক্যালিগ্রাফি দিয়ে।২০১৯ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী আয়োজিত প্রথম জাতীয় ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতায় বিশেষ পুরুস্কার পেয়েছেন তিনি। একই বছর মইনিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত দশম জাতীয় ক্যালিগ্রাফি প্রতিযোগিতায়ও প্রথম হয়েছেন।

মাত্র ৭ বছর বয়স থেকে মাদ্রাসায় পড়া শুরু করেন উসামা হক। মাদ্রাসায় পড়া অবস্থাতেই শখের বশে ক্যালিগ্রাফি শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগ থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স করার পাশাপাশি ঢাকা আলিয়া থেকে ফাযিল এবং কামিল পড়াশুনা শেষ করেন৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সিদ্বান্ত নেন ক্যালিগ্রাফিকে প্রফেশনালি এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তাই বিভিন্ন কর্মশালায় যুক্ত হয়ে নিজের দক্ষতাকে বাড়িয়ে তোলেন।

উদ্যোক্তা উসামা আরবি বিভাগে পড়াশুনা করলেও ক্যালিগ্রাফির বিষয়বস্তু শুধু মাত্র আরবিতে সীমাবদ্ধ রাখেননি। আরবির পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজিতেও কাজ করেন তিনি। উদ্যোক্তা উসামা ক্যালিগ্রাফি করছেন দীর্ঘ ১৫ বছর। বর্তমানে ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং এর পাশাপাশি ক্যালিগ্রাফি শেখাচ্ছেন। জলরং এবং এক্রেলিক রং মূলত এই দুই মাধ্যমে তিনি পেইন্ট করেন এবং ক্যালিগ্রাফির যতগুলো ধরন আছে সবগুলো নিয়েই তিনি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন।

অনলাইন প্লাটফর্ম উসামা’স ক্যালিগ্রাফি এর মাধ্যমেই মূলত কাজগুলো সেল করেন এবং ক্যালিগ্রাফি পেইন্টিং কোর্স করাচ্ছেন। দেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই তাঁর কাজ পৌঁছে গেছে, এমনকি দেশের গন্ডি পেরিয়ে
সৌদি, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা,কানাডা, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে পৌঁছে গেছে উদ্যোক্তা উসামা হকের ক্যালিগ্রাফি।

উদ্যোক্তা উসামা হক বলেন, “ছোট থাকতে আমাদের অনেককিছু ভালোলাগে কিন্তু বড় হওয়া পর্যন্ত বা বড় হওয়ার পর সেটা আর টিকে থাকেনা, কিন্তু ক্যালিগ্রাফির প্রতি ছোট থাকতে আমার ভালোলাগা কাজ করতো বড় হওয়ার পরেও সেই ভালোলাগা বরং আরো বেড়েছে, আমি মনে করি যেই কাজ আমাদের করতে ভালোলাগে এবং যেটাতে আমি দক্ষ সেটাই প্রফেশনালি নেওয়া উচিত এবং সেই ভাবনা থেকেই ক্যালিগ্রাফিকে প্রফেশন হিসেবে নিয়েছি”।

“গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে কাজ করতে গেলে অনেক বিড়ম্বনার স্বীকার হতেই হয়। বাংলাদেশে ক্যালিগ্রাফি শেখার কোনো ইন্সটিটিউশন নেই সবাই ব্যাক্তিগত পর্যায় থেকেই শিখছে, বিশেষ করে জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্ররা ক্যালিগ্রাফির প্রতি আগ্রহ থাকলেও জটিলতার কারণে ক্যালিগ্রাফি শিখতে পারছেনা, সবাই যেনো সহজভাবে ক্যালিগ্রাফি শিখতে পারে সেই ক্ষেত্রটি তৈরি করতে চাই” – এমনটাই বলছিলেন উদ্যোক্তা উসামা হক।

সেতু ইসরাত
উদ্যোক্তাবার্তা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here