ঢাকায় চারদিনের পার্বত্য মেলা

0

রাজধানীতে শুরু হয়েছে চারদিনব্যাপী পার্বত্য মেলা।
মেলা চলবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।

স্বাগত বক্তব্য জানিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম। অতিথিদের মধ্যে ছিলেন দীপংকর তালুকদার এমপি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী এবং বাসন্তী চাকমা এমপি।

প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেন, ‘এটি একটি চমৎকার আয়োজন। পার্বত্য এলাকা থেকে যে উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেছেন তারা সফল হয়েই যেন বাড়ি ফিরেন।আমার পক্ষ থেকে তাদের জন্য শুভকামনা রইল।’

মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন: স্বাধীনতা পরবর্তী পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক, অবকাঠামোগত, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটন, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদির উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে পাহাড়ী জনগোষ্ঠী তাদের উৎপাদিত পণ্য শুধু স্থানীয় জেলা শহর নয়, ঢাকাসহ সারাদেশ এমনকি বিদেশেও রপ্তানি করছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম অঞ্চলে পৌছে যাওয়াতে বিদ্যুৎ, শিক্ষা, ব্যবসা বাণিজ্যেও প্রসার ঘটেছে। সমতলের জনগোষ্ঠীর সাথে পাহাড়ের জনগোষ্ঠীর সংযোগ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। যে পাহাড়ী জনগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামের ভেতরেই তাদের সকল সামাজিক, অথনৈতিক, ধর্মীয়, শিক্ষা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রাখতো, আজ তাদের সকল কর্মকাণ্ডের বিস্তৃতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়েছে। এক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত পার্বত্য মেলা বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিকাশ ও উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। বর্তমান সরকার বাংলাদেশ সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ২৩ক উপ-অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম এদেশে বসবাসরত উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও বিকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

মন্ত্রী জানান, চার দিনব্যাপী এই পার্বত্য মেলায় ১০৩টি স্টল থাকবে। মেলার স্টলে তিন পার্বত্য জেলায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য, হস্তশিল্প, ঐতিহ্যবাহী কোমর তাঁতে বোনা পণ্য, ঐতিহ্যবাহী পার্বত্য খাবার দ্রব্য প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হবে। এছাড়া মেলা চলাকালীন পার্বত্য জেলার শিল্পীদের অংশগ্রহণে প্রতিদিন বিকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।

আগামী ১৫ জানুয়ারি বিকাল ৩টায় পার্বত্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত।

মেহনাজ খান
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here