করোনাকালে ২০২০ সালে প্রথমবারের মতো চালু হওয়া অনলাইন কোরবানির হাট ‘ডিজিটাল হাট’ এবারও অনলাইনে পশু বিক্রি করছে। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) ব্যবস্থাপনায় এবং সরকারের এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রকল্পের একশপের কারিগরি এই ডিজিটাল হাট শুরু হয়েছে ২০ জুন।
ই-ক্যাবের মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘আমরা গত ৩ বছরে প্রায় ১০ হাজার খামারিকে এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত করেছি। বিভিন্নভাবে তারা অনলাইনে পশু বিক্রয় করেছেন এবং অনেকে প্রত্যক্ষভাবে এর সুফল পেয়েছেন। খামারি, অনলাইন উদ্যোক্তা ও কোরবানির পশুর ক্রেতা—সবার কথা চিন্তা করেই আমরা এই উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছি।’
একশপের দলনেতা রেজওয়ানুল হক জানান, ডিজিটাল হাটের ওয়েবসাইট (digitalhaat.gov.bd) ছাড়াও দেশের শীর্ষস্থানীয় পশু বেচাকেনার প্ল্যাটফর্মগুলো এর সঙ্গে যুক্ত। জেলা পর্যায়ের পশু বিক্রির ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটগুলোও আছে ডিজিটাল হাটের সঙ্গে।
২০২০ সালে প্রথমবার ডিজিটাল হাটে ২৭ হাজার কোরবানির পশু বিক্রি হয়। ২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৮৭ হাজার। ২০২২ সালে প্রায় ৬০ হাজার পশু বিক্রি হয় অনলাইনের এই হাটে। চলতি বছর অন্তত ৫০ হাজার পশু বিক্রি হবে বলে উদ্যোক্তাদের ধারণা।
ই-ক্যাবের অর্থ সম্পাদক আসিফ আহনাফ বলেন, ‘এ বছর প্রবাসী ক্রেতাদের জন্যও অনলাইনে পশু কেনার সুযোগ রেখেছি। সেটা শুধু ডিজটাল হাটের ওয়েবসাইটে কেনা যাবে। ক্রেতা যে জেলার জন্য কিনতে চান, পশুর অবস্থান সেখানে হতে হবে।’
ডিজিটাল হাটের মাঠপর্যায়ের সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পশুর মূল্য পরিশোধ করতে ডিজিটাল হাট থেকে পেমেন্ট লিংক পাঠানো হবে। সেই লিংকে মূল্য পাঠাতে হবে। বিক্রেতা ক্রেতার ঠিকানা অনুযায়ী পশু পৌঁছে দেবেন। পুরো বিষয়টি ডিজিটাল হাট কর্তৃপক্ষ তদারক করবে। পশু জবাই ও মাংস কাটাকাটির ব্যবস্থাও আছে এই হাটে।
ডিজিটাল হাটের পৃষ্ঠপোষক ই–কমার্স সাইট দারাজ এবং অংশীদার হিসেবে রয়েছে ওয়ালেটমিক্স।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা