ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবং যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ডেট্রয়েট সিটির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এর ফলে দুই সিটির মধ্যে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে পারবে ডেট্রয়েট সিটি। অন্যদিকে বাংলাদেশেরও উত্তম কার্যক্রমগুলোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি ২০২৩) মিশিগান সময় দুপুর ১২টায় ডেট্রয়েট সিটি ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম ও ডেট্রয়েট সিটির মেয়র মাইকেল ই দুগান (Michael E Duggan) সিস্টার সিটির সমঝোতা স্মারকে সই করেন। সেসময় উপস্থিত ছিলেন ডেট্রয়েট সিটির ডেপুটি মেয়র টোডা এ ব্যাটিসন (Todda A Batison), ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, বাংলাদেশ আমেরিকান পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান এহসান তাকবীম, স্যোসাল অ্যাকটিভিস্ট কাউসার খান প্রমুখ।
চুক্তির আওতায় নগরের পরিচ্ছন্নতা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ড্রেনেজসহ নগর উন্নয়নের সবগুলো সেক্টরে সহায়তা করবে ডেট্রয়েট। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে বলে মনে করেন ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম।
এই চুক্তি আধুনিক ঢাকা গড়তে যেমন সহায়তা করবে, পাশাপাশি শুধু ডেট্রয়েটই নয়; যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করেন তিনি। শিগগিরই ডেট্রয়েটের মেয়র বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও নিশ্চিত করেন ডিএনসিসি মেয়র।
মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি ইতিহাস সৃষ্টি হলো। যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েট সিটি এবং বাংলাদেশের ডিএনসিসির মধ্যে সিস্টার সিটির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার দিনটি একটি যুগান্তকারী দিন। এতে প্রমাণিত হয় যুক্তেরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ডেট্রয়েট ম্যানুফ্যাকচারিং সিটি। ঢাকাও ম্যানুফ্যাকচারিং সিটি। কাজেই এই চুক্তি আমাদের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। সিস্টার সিটি চুক্তির অর্থ হলো তাদের ভালো দিকগুলো আমাদের দিতে চায়। আবার আমরা আমাদের ভালো দিকগুলো তাদের দিতে চাই। তারা আমাদের ভালো দিক হিসেবে উল্লেখ করেছে কিভাবে আমরা অধিক জনঘনত্বের শহরকে পরিচালিত করি। কারণ ডেট্রয়েট সিটির জনঘনত্বও বাড়ছে যা তাদের চিন্তার কারণ।’
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ‘ডেট্রয়েট সিটির মেয়র জানিয়েছেন, এক সময় তাদেরও ক্যানেলগুলো খারাপ অবস্থায় ছিল। তারা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অনেক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। আমরা কীভাবে তাদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগাতে পারি সে বিষয়ে কথা হয়েছে। ডেট্রয়েট সিটির মেয়র কথা দিয়েছেন, তিনি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সফরে আসবেন। তার আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সময় সময় কথা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিশেষজ্ঞ দিয়ে আমাদের সহায়তা করবেন।’
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা