উদ্ভাবন ও স্টার্টআপ বিকাশে এক সাথে কাজ করবে জেট্রো ও আইসিটি বিভাগ

0

জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) উদ্ভাবন ও স্টার্টআপ বিকাশে আইসিটি ডিভিশনের সাথে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে বাংলাদেশ এবং জাপানের বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক বৈঠকে জেট্রো প্রেসিডেন্ট কাজুশিগে নবুতানি এ আগ্রহের কথা জানান।

তিনি বলেন, জেট্রো জাপানের আইটি সেক্টরের সম্ভাবনা ও সুযোগ অন্বেষণে, স্থানীয় স্টার্টআপে সহযোগিতা, যৌথ ওয়েবিনার ও সেমিনার এবং জাপানিজ প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরের আয়োজন এবং জাপানে ইভেন্ট অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করবে। এসব কাযর্ক্রম মূলত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য সহায়ক হবে।

অনুষ্ঠানে জাপান বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে সফলভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ শুরু করছি। জাপান মেট্রোরেল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা করেছে।

আগামীতে জাপান-বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় জাপান সরকার সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার স্টার্টআপ, উদ্ভাবন ও গবেষণার ওপর বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করে পলক বাংলাদেশ ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে আইটি সামিটের আয়োজনসহ ২৫টি বাংলাদেশের স্টার্টআপ এবং ২৫টি জাপানের স্টার্টআপ মোট ৫০টি স্টার্টআপ বিনিময়ের প্রস্তাব দেন।

জাপানের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানানো হয়, আশ্বস্ত করা হয় – বাংলাদেশ আইটি কানেক্ট-জাপান পোর্টালের মাধ্যমে জাপান ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে।

বাংলাদেশে স্টার্টআপে জাপানের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করে কাজুশিগে বলেন, তারা স্টার্টআপ বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশে স্টার্টআপের বিকাশে সহযোগিতা করবে।

স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ ‘বিল্ডিং অ্যান ইনক্লুসিভ অ্যান্ড রিজিলিয়েন্ট স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ মাস্টারপ্লান অনুসারে সরকার এর চারটি স্তম্ভ- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটির আলোকে ৪০টির বেশি প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের সহযোগিতা করতে পারে। সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ তৈরির লক্ষেও কাজ করছে বলে তিনি জানান।

সরকারের পক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) রণজিৎ কুমার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থানা পরিচালক ডা. বিকর্ন কুমার ঘোষ, এনহেন্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, জেট্রোর পক্ষে নির্বাহী ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাইয়ুমি মুরায়ামা, জেট্রোর ডিজি সাতোশি কুবোতা, জেট্রোর আবাসিক প্রতিনিধ ইয়োজি আনদো এবং জেট্রোর সিনিয়র পরিচালক শরিফুল আলম সেসময় উপস্থিত ছিলেন।

জাপানি প্রতিনিধিদল আইডিয়া প্রকল্প, এটুআই প্রকল্প ও ডিজিটাল লিটারেসি এজেন্সিও পরিদর্শন করে।

ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here