ডিএনসিসি-ঐক্য হলিডে মার্কেট: রেকর্ড ব্রেকে দ্বিতীয় সপ্তাহে সেরা উদ্যোক্তা শায়লা আখন্দ

0

ডিএনসিসি-ঐক্য হলিডে মার্কেটের দ্বিতীয় সপ্তাহে সেরা উদ্যোক্তার অ্যাওয়ার্ডটি জিতে নিলেন সতেজের স্বত্ত্বাধিকারী উদ্যোক্তা শায়লা আখন্দ। তার ব্র্যান্ড সতেজকে ক্রেস্টসহ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সেলিম রেজা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মোঃ ফোরকান হোসেন।

শনিবার ২০ জানুয়ারি ডিএনসিসি-ঐক্য হলিডে মার্কেটের দ্বিতীয় সপ্তাহের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সেরা হিসেবে উদ্যোক্তা শায়লা আখন্দকে সম্মানিত করা হয়।

দ্বিতীয় সপ্তাহে সর্বোচ্চ বিক্রি করেছে তার খাদ্যপণ্যের প্রতিষ্ঠান সতেজ। প্রথম দিন শুক্রবার ৬৫ হাজার টাকার পর দ্বিতীয় দিন শনিবার ১ লাখ টাকার বিক্রি হয়। এই উদ্যোক্তার স্টলে চিড়ার মোয়া, বাদামভাজা, গুড়ের শাহি খুরমা, তিল পাপড়ি, নিমকি, মুরালী, তিল নাড়ু, নারকেলের নাড়ু, ঝাল মোনাকা এবং বাদাম চানা বিক্রি হয়।

উদ্যোক্তা শায়লা আখন্দ সম্মাননা পেয়ে অনুভূতি জানিয়ে বলেন: আমরা মূলত কাজ করছি গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার নিয়ে। আমি বাংলাদেশের প্রথম হলিডে মার্কেট ডিএনসিসি ঐক্য হলিডে মার্কেটে দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ করেছি। এ আয়োজনটি যারা করেছেন, আমাদের মতো উদ্যোক্তাদের জন্য ইতিহাস সৃষ্টি করার মতোই। এখানে আমরা যারা খাবারের উদ্যোক্তা রয়েছি, তারা সরাসরি ভোক্তাদের কাছে প্রদর্শন করতে পারছি, যার কারণে আমরা তাদের রিভিউটা সরাসরি জানতে পারছি।

‘আমি বিশেষ করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং ঐক্য ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ বিশেষ করে আমরা যারা নারী উদ্যোক্তা রয়েছি, আমরা আমাদের পণ্যগুলো প্রচার প্রসার করার সুযোগ এখানে পাচ্ছি। এজন্য আমরা নারী উদ্যোক্তারা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। দ্বিতীয় সপ্তাহের সেরা উদ্যোক্তা হওয়ার সম্মাননার অনুভূতি আসলেই অসাধারণ,’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল সরকারি চাকরি করবেন কিংবা আইনজীবী হবেন। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে লেখাপড়া শেষ করে অবশ্য সে পথে আর হাঁটেননি শায়লা আখন্দ। বরং দেশীয় ঐতিহ্য ধরে রেখে গ্রামীণ ঐতিহ্যের খাবারগুলো নতুন করে জনপ্রিয় করতে উদ্যোক্তা হয়ে উঠলেন। ২০০৯ সালে তার উদ্যোক্তা জীবনের শুরু।

ঐতিহ্যবাহী সব দেশীয় খাবার যেমন মুড়ির মোয়া, চিড়ার মোয়া, নিমকি, মুরালি, মনেক্কা, শাহি খুরমা, বাদাম পাপড়ি, বাদাম টানা, তিল পাপড়ি, তিল টানা, নারকেল নাড়ু, তিল নাড়ু, নানারকম পিঠা, শবে-বরাতের হালুয়া, প্যাকেটজাত মশলা পাওয়া যায় তার উদ্যোগ ‘সতেজ’-এ।

শায়লার কর্মভুবনে এখন ৩০ -৩৫ জন কর্মী আছেন। অনলাইনে তার পেইজ ‘সতেজ ফুড’। পণ্য যাচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ড শপে, যার মধ্যে আছে স্বপ্ন, মীনা বাজার, সি. এস. ডি, প্রাণ ডেইলি শপিং, বেস্ট বাই, ট্রাস্ট ফ্যামিলি নিডস্, ইউনিমার্ট এবং লাজ ফার্মা। খুচরা বাজারেও যাচ্ছে তার পণ্য।

দেশীয় ঐতিহ্য যেন হারিয়ে না যায়, সেসঙ্গে বিদেশেও যেন পণ্যের প্রসার ও পরিচিতি করতে পারেন, সেই পরিকল্পনা ও স্বপ্নই তার।

মেহনাজ খান,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here