ঝালকাঠিতে গাছের চারা বিক্রির ধুম

0

বর্ষা মৌসুমের শেষের দিকে ঝালকাঠিতে গাছের চারা বিক্রির ধুম চলছে। চাহিদামতো বিক্রি হওয়ায় বিক্রেতারাও খুশি। এ সময়ে গাছের চারা লাগানোর উপযুক্ত সময় হওয়ায় ক্রেতারা পছন্দের চারা কিনছেন। বাড়ির আশেপাশে এবং চাষিরা বাগানে এ চারা রোপণ করেন।

ঝালকাঠি জেলা শহরে সাপ্তাহিক হাট সোমবার ও বৃহস্পতিবার। শহরের পশ্চিম চাঁদকাঠি এলাকার বাসন্ডা ব্রিজের নিচে বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ, বনজ ও ওষুধি গাছের চারা বিক্রির হাট বসে। স্বরূপকাঠি উপজেলার নার্সারি থেকে নৌপথে চারা সরবরাহ করা হয়। ক্রেতা, বিক্রেতা, পাইকার, চাষি, ব্যবসায়ীসহ বিপুল লোকের সমাগম ঘটে। চাহিদামতো চারা কিনে নেন তারা। আকার এবং মানভেদে দাম রাখা হয়।

বিক্রেতারা জানান, নলছিটিতে সাপ্তাহিক হাট বসে রোববার ও বুধবার। উপজেলার সুগন্ধা নদীর তীর সংলগ্ন পুরোনো স্টিমারঘাট এলাকায় চারা নিয়ে আসেন বিক্রেতারা। হাটের দিন ক্রেতা ও বিক্রেতা মিলে শতশত লোকের সমাগম ঘটে। বিক্রিও হয় লাখ টাকার গাছের চারা।

রাজাপুর উপজেলার সবচেয়ে বড় হাট বাগড়ি। প্রতি সপ্তাহের রোববার ও বৃহস্পতিবার হাট বসে। বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের রাজাপুরের এ হাটে বিভিন্ন স্থান থেকে নৌ ও সড়ক পথে নানা প্রজাতির গাছের চারা বেচাকেনা হয়।

ক্রেতারা জানান, এখানে মূলত আম, আমড়া, কাঁঠাল, লেবু, পেয়ারা, মেহগনি ও চাম্বুল গাছের চারা বেশি বিক্রি হয়। এছাড়া ওষুধি গাছের চারাও পাওয়া যায়। প্রতিটি গাছের চারা সর্বনিম্ন ৩০ টাকা থেকে শুরু করে আকার ও মান অনুযায়ী ৩ হাজার টাকায়ও বিক্রি হয়। বনজ গাছের চেয়ে ফলদ গাছের দাম ও চাহিদা অনেক বেশি।

বিক্রেতা আকবর আলি বলেন, ‘প্রায় ৩০ প্রকারের চারা আমাদের কাছে আছে। এর মধ্যে ওষুধি ও ফুল গাছের চারাসহ অন্য সব ধরনের গাছের চারা আছে। বর্ষা মৌসুমের শেষদিকে চারা রোপণ করলে মরে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে। তাই ক্রেতারা মূলত এই সময়ে চারা কিনে থাকেন।’

নলছিটির ক্রেতা মশিউর রহমান বলেন, ‘হাট নদীর তীরবর্তী হওয়ায় বিক্রেতারা চারাগুলো সহজে পরিবহন করেন। ফলে চারাগুলো সতেজ থাকে। আমরাও কিনে নদীপথে পরিবহন করতে পারি। এতে গাছের চারার গোড়ার মাটিগুলো শক্ত থাকে। চারাগুলা রোপণের পর মরে যাওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে।’

জেলা বন কর্মকর্তা মো. জিয়াউল ইসলাম বাকলাই বলেন, ‘জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গাছের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। এখন হাট গুলোতে বেশ ভালো চারা বিক্রি হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে বনায়নের কোনো বিকল্প নেই। সমতলের অন্য জেলার তুলনায় এ জেলায় বনায়নের পরিমাণ অনেক বেশি। আমাদের উচিত বেশি বেশি ফলদ, বনজ ও ওষুধি গাছের চারা রোপণ করা।’

ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here