পাটের তৈরী বটবৃক্ষ বনসাই, হরেক রকমের দৃষ্টিনন্দন শো-পিস, ওয়াল ম্যাট, হোম ডেকরসহ শত ডিজাইনের ব্যাগ। এ যেন পাটের পাঠশালা। বিআইসিসি’তে ৮ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা-২০২০ এর সি-ব্লকে প্রবেশ করতেই নিশ্চিত আপনার চোখ সেখানে আটকে যাবে। পাট যে সোনালী আঁশ, পাট দিয়ে সোনা ফলানো যায় তার নমুনা দেখতে পারবেন।
মেলায় সেই স্টলে ক্রেতা দর্শনার্থীদের হুমড়ি খাওয়া ভীড় দেখেই বোঝা যায় পণ্যের বৈচিত্র্যতা এবং গুনগত মান। ছোট থেকে বড়দের স্কুল কলেজ ব্যাগ কিংবা অফিসের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাগ, শৌখিন ব্যাগ সব আছে এই স্টলটিতে। আরও আছে শখের সংগ্রহ করার মতো পণ্য। যা আপনার শোবার রুম কিংবা বেলকুনির শোভা বর্ধন করবে।
পাট মানে কি শুধু-ই বস্তা? পাটের পণ্য গুলো কেন বস্তার সাথে তুলনা করা হয়? কিন্তু পাটকে কেন তাহলে সোনালী আঁশ বলা হয়? এইসব চিন্তায় দিনরাত বিভর ‘তুলিকা’র স্বত্বাধিকারী ইসরাত জাহান চৌধুরী, কথা হলো তার সাথে।
“গতানুগতিক কিছু করার পক্ষপাতি ছিলাম না কখনো, স্রোতে গা না ভাসিয়ে উজানে কিছু খুঁজতাম। ভালো বেতনে ভালো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছি কিন্তু আত্মতুষ্টির জায়গা শূন্য। তাই নিজে কিছু করে দেখানোর চ্যালেঞ্জ থেকে পাট নিয়ে কাজ শুরু করি” কথা গুলো বললেন উদ্যোক্তা ইসরাত জাহান চৌধুরী।
২০১৫ সাল থেকে দুই বছর পাট ও পাট থেকে কীভাবে গুণগত পণ্য উৎপাদন করা যায় সে বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন এই নারী উদ্যোক্তা। ২০১৭ সালে পাট পণ্য তৈরি শুরু করেন। বছরের শেষেই পরিশ্রমের সুফল আসতে শুরু করে। পেয়ে যান একটি রপ্তানি আদেশ। মাত্র ৫০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করলেও এখন মাসে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা লেনদেন হয় তার হাতে।
‘তুলিকা’র মাধ্যমে যে শুধু ইসরাত সাবলম্বী হয়েছেন তা নয়, আরও ২০জন নারীর কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করেছেন তিনি। উদ্যোক্তা সোনালি আঁশকে তাদের সোনালি দিনের হাতিয়ার করে তুলেছেন।
বিপ্লব আহসান