জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষ্যে ০২ অক্টোবর ২০২০ তারিখ বেলা ১১.০০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রাজশাহীর সম্মেলন কক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আব্দুল জলিল, জেলা প্রশাসক, রাজশাহী মহোদয় এবং সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো: শরিফুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), রাজশাহী মহোদয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়- “জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে উৎপাদনশীলতা “(Productivity in building Golden Bengal the dream of the father of the nation).

সভার শুরুতেই বিসিক, রাজশাহীর উপ-মহাব্যবস্থাপক জনাব জাফর বায়েজীদ জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস সম্পর্কে তথ্যচিত্রের মাধ্যমে এর তাৎপর্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
পরবর্তীতে বিসিক শিল্প মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি জনাব মো: লিয়াকত আলী শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে অবকাঠামোগত উন্নয়ন জরুরী বলে উল্লেখ করেন।
বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল মালেক বিসিক এলাকায় শিল্পের বিকাশে সার্ভিস চার্জ সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
টিটিসি রাজশাহীর অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো: এমদাদুল হক মতামত ব্যক্ত করেন যে, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তিনি কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

রাজশাহী জুট মিলসের প্রকল্প প্রধান জনাব মো: শরিফুল ইসলাম বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ৭৮টি পাটকল সরকারিকরণ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে থাকার কারণে উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়ায় সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পাটকলগুলোর উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজশাহী জেলা নাসিবের সভাপতি জনাব মো: শফিকুল ইসলাম বেলাল তার বক্তব্যে উৎপাদনশীলতার বিকাশে অন্যান্য জেলার তুলনায় রাজশাহী জেলায় শিল্পের অবদান কতখানি তা নিরূপণ করার প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।

ওয়েব রাজশাহী’র সভাপতি জনাব আঞ্জুমান আরা লিপি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দেশে ও বিদেশে প্রশিক্ষণের উপর তাগিদ প্রদান করেন। তিনি রাজশাহী জেলায় সিল্ক খাতের পাশাপাশি চামড়া এবং পাট শিল্পের বিকাশ ঘটানো সম্ভব বলে মতামত প্রদান করেন।

জেলা প্রশাসক, রাজশাহী মহোদয় তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, শুধু শিল্প নয়, কৃষি ও শিক্ষাসহ অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেই উৎপাদনশীলতার বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে তিনি রাজশাহী জেলার প্রাকৃতিক সম্পদ ও ভৌগোলিক সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিকভাবে ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করেছেন। উৎপাদন এবং ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত সকলকে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা নিয়ে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি রাজশাহী জেলায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে জেলা প্রশাসন সবসময় ইতিবাচক ও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এছাড়াও উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে রাজশাহী সুগার মিলস লি:, বিএসটিআই, চেম্বার অব কমার্স, উইমেন চেম্বার অব কমার্স এর প্রতিনিধিবৃন্দসহ জেলা প্রশাসন ও বিসিক, রাজশাহীর কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এবং প্রিন্ট- মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here