দেশের গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ৩০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি সম্পাদন করেছে সরকার। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। রেজিলিয়েন্স, এন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ অ্যান্ড লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট (আরইএলআই) শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নে এ-ঋণ ব্যবহার করা হবে।
গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের ই-কমার্সে সংযুক্ত করতে এ প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা করা হবে। তাদের উৎপাদিত পণ্য দলগতভাবে প্রচারণা ও বিক্রি করতে সহায়তা করবে।
তরুণ বেকারদের কর্মসংস্থানে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। জলবায়ু ঝুঁকি, অভিযোজন বিষয়ে সবমিলিয়ে ৪ লাখ ৯০ হাজার মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দেশের সাড়ে ৭ লাখ গ্রামীণ হতদরিদ্র মানুষ উপকৃত হবে বলে আশা করছে বিশ্বব্যাংক। প্রকল্পটি দেশের ২০টি জেলার ৩ হাজার ২০০ গ্রামে বাস্তবায়ন করা হবে। মূলত আয় বর্ধন মূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জীবনমান উন্নত করার প্রচেষ্টা করা হবে।
এ-প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টিম্বন উল্লেখ করেন, “কোভিড-১৯ বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে নারীদের ওপর, কারণ তাদের আয়ের সুযোগ কমে গেছে”।
রবিবার অনুষ্ঠিত হওয়া ঐ চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ(ইআরডি)-এর সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টিম্বন স্বাক্ষর করেন। পাঁচ বছর রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
এসব গ্রামের মানুষকে নগদ সহায়তা প্রদান এবং দলগত ঋণ প্রদানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রচেষ্টা থাকবে। এই প্রকল্পটি গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নতিতে সহায়তা করবে। এর ৯০ ভাগ উপকারভোগী হবেন নারী উদ্যোক্তারা। প্রকল্পটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পুষ্টির বিষয়েও সচেতনতা বাড়বে বলে মনে করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
সেখ মুসফেক -উস -সালেহীন
উদ্যোক্তা বার্তা, ঢাকা