ছোটবেলায় তার স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হওয়ার। বর্তমানে তিনি শিক্ষকতা পেশাতেই আছেন। পাশাপাশি একজন উদ্যোক্তা ফ্লোরা ইকবাল। তার লক্ষ্য স্বাধীনভাবে কিছু করা, পাশাপাশি কিছু মানুষের কর্মসংস্থান।
তার উদ্যোগের শুরু ২০২২ সালের শুরু দিকে। করোনা মহামারীতে যখন স্কুল বন্ধ হয়ে যায়, তখন নিজের কাজ এবং স্কুলের বাচ্চাদের খুব মিস করছিলেন। তাই ভাবলেন বাচ্চাদের পোশাক নিয়ে কাজ শুরু করবেন। পাশাপাশি এ চিন্তাও কাজ করে যে, উদ্যোক্তা জীবনে স্বাধীনভাবে কাজ করা যায়। আর স্বাধীনভাবে কাজ করার বরাবরই ইচ্ছা ছিল তার।
ফ্লোরা ইকবালের উদ্যোগে বাচ্চাদের কাস্টমাইজড সব ধরনেরর ড্রেস যেমন-ফ্রক, বেবি স্কার্ট, ফতুয়া, টপস ইত্যাদি তৈরি হয়।
উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রথম যে বাধা এসেছে তা হলো ডেলিভারি সমস্যা, দ্বিতীয়ত কর্মী সংকট। আপাতত তার কাজগুলো তিনি একাই সব করছেন। তবে তার সাথে খণ্ডকালীন দু’জন আছেন।
দেশের ভেতর ঢাকা, কুমিল্লা, চট্রগ্রাম, সিলেট, রংপুর, ফেনী, নোয়াখালী, বরিশালসহ আরও কিছু জায়গায় তার পণ্য গেছে। দেশের বাইরে ইটালি এবং ইংল্যান্ডে। ওয়েব মার্কেট প্লেসেও তার পণ্য পাওয়া যাচ্ছে, যেটা ফরচুন মার্কেটে অবস্থিত।
উদ্যোগের পেছনে তার পরিবারের সবার সাপোর্ট ছিল, এখনও আছে। এছাড়া বন্ধু-বান্ধবের সমর্থনও ছিল সবসময়। এছাড়াও নারী উদ্যোক্তা ফাউন্ডেশন (ওয়েব) এর ভূমিকা ছিলো অনেক বেশি। সবমিলিয়ে উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন ভালোভাবে।
ফ্লোরা ইকবালের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিজের একটা কারখানা যেটা অনেক গুছিয়ে তিনি স্থাপন করতে চান। সেখানে তার পণ্য তৈরি হবে বৃহৎ পরিসরে।
তরুণদের জন্য তার পরামর্শ: আপনার ভালো লাগার যে বিষয় সেটাতে ফোকাস করুন। আর চেষ্টা করুন সেটা নিয়েই কাজ করতে। দেখবেন সাফল্য আসবেই।
উদ্যোক্তা ফ্লোরা পড়াশোনা শেষ করেছেন ইডেন মহিলা কলেজ থেকে। ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে মাস্টার্স করেছেন তিনি।
মাসুমা শারমিন সুমি
উদ্যোক্তা বার্তা