বর্তমানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ডাক্তার, আইনজীবী, বিজ্ঞানী সহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ব্যবহৃত সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট “কিওরা (Quora)”। যেখানে চাইলে আপনি পেতে পারেন আপনার জানা অজানা সব প্রশ্নের উওর। আসুন জেনে নেই সেই প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং ফেসবুকের ০.৮% অংশীদার অ্যাডাম ডি’আঞ্জেলোর কথাঃ
অ্যাডাম ডি’আঞ্জেলো ২০০২ সালে ইনফরম্যাটিকসে আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে রৌপ্য পদক অর্জন করেছিলেন।
অ্যাডাম ডি’আঞ্জেলো ২০০০ সালে ‘ফিলিপ্স এক্সেটর একাডেমীতে’ উচ্চমাধ্যমিক পড়ার সময় মার্ক জাকারবার্গ এবং অন্যদের সাথে মিলে সিনাপ্স মিডিয়া প্লেয়ার (একটি সঙ্গীত প্রস্তাব সফ্টওয়্যার) উদ্ভাসিত করেন। পরে ২০০২-২০০৬ সালের মধ্যে ক্যালিফর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি মার্ককে সহায়তা করার জন্য কিছুটা সময় ধরে তার পড়াশোনা বন্ধ রেখেছিলেন। পড়াশোনা শেষ করার পরে মার্ক জাকারবার্গের প্রাথমিক দলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন অ্যাডাম ডি’আঞ্জেলো।
অ্যাডাম ডি’আঞ্জেলো ২০০০ সালে ফেসবুক থেকে অবসর নিয়ে কিওরা নামক ওয়েবসাইট তৈরীতে মনোনিবেশ করেন। ২০০৯ সালের জুনে অ্যাডাম ডি’আঞ্জেলো এবং চার্লি শেভার কর্তৃক ওয়েবসাইট তৈরীর মাধ্যমে কিওরা প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১০ সালের জুনে এটি সর্বসাধারণ ব্যবহারের সুযোগ লাভ করেন।
সহজ কথায় বলতে গেলে কিওরা একটি প্রশ্নোত্তর মূলক ওয়েবসাইট যেখানে ব্যহারকারীরা প্রশ্ন করে, কিওরা তার উত্তর দেয় এবং সম্পাদনা করে সেটিকে আরও সুসংগঠিত করে। এখানে তথ্যের বিপরীতে সত্য এবং প্রমাণ সহ সঠিক উত্তর আশা করা যায়।
কিওরার শুরুর চিন্তাটি ছিল কিছুটা অদ্ভূত। একদিন অ্যাডাম এবং চার্লি ফেসবুক অফিসের কাছে একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে খাবার খাওয়ার সময় কিওরার মূল ধারণাটি জন্ম দিয়েছিলেন। তারা ইন্টারনেটের এমন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছিলেন যেগুলির প্রতি ব্যবহারকারীদের চাহিদা আছে কিন্তু কোনো সমাধান নাই।
গবেষণার পর তারা জানতে পারেন প্রকৃতপক্ষে এই সমস্যাগুলোর প্রধান সমাধান হবে যদি ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তরের ব্যবস্থা করা যায়। সেই উওরগুলো আবার হতে হবে সঠিক। এই ছোট্ট চিন্তা থেকেই তৈরী হয় “কিওরা”।
বর্তমানে সময়ের সাথে সাথে কিওরা ১৩০ জন কর্মীর দল নিয়ে নিঃশব্দে ৮০ মিলিয়ন মাসিক জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। যার মধ্যে ৫০% জনগণ রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবং ১৫% জনগণ ভারতবর্ষের।
এখন পর্যন্ত তারা ১১ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে মোট ১৪১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশী অর্থ সংগ্রহ করেছেন। বর্তমান এই প্রতিষ্ঠানের মূল্য প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশী।
ফরচুন ম্যাগাজিনটি ডি’আঞ্জেলোকে তার “প্রযুক্তিতে সবচেয়ে স্মার্ট লোক” নিবন্ধে রানার-আপ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছিল।
মো:হৃদয় সম্রাট