করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে, জনসমাবেশ এড়িয়ে সম্পন্ন হল আঠারো’র প্রতিশ্রুত কর্মসূচী। লকডাউনে নওগাঁ জেলার মেহনতি মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্যসামগ্রী।

এই কর্মসূচীতে আঠারো তরুণ, সমাজের সচ্ছল এবং খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের মাঝে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেছে মাত্র। জনসাধারণ এবং আঠারো’র সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতায় মেহনতি মানুষদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে দুই কেজি চাল, আধা কেজি ডাল, তেল, আলু, মুড়ি ও সাবানের একেকটা পুঁটলি।

দেখতে পুঁটলি কিন্তু আদতে বেঁচে থাকার সম্বল। “সমাজের তরে, সবুজের বেশে, আমরা আঠারো” এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে আঠারো’র যাত্রা শুরু হলেও কোভিড-১৯ এর প্রকোপে বিপন্ন সুস্থ জীবনাকাঙ্ক্ষাকে টিকিয়ে রাখতে তাদের এই কর্মসূচী ছিল সময়ের দাবি।

আর এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতেও যারা আঠারো’র উপর ভরসা করে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন “আঠারো” র প্রতিষ্ঠাতা ও উদ্যোক্তা লাবিবা রহমান এবং মাহদী মুহম্মদ ইরাম।

পরিবেশ হোক দূষণমুক্ত। প্রতিহত হোক করোনা, জয়ধ্বনিত হোক সুস্থ জীবনাকাঙ্ক্ষা। এই প্রত্যাশায় গত ৩০শে মার্চ সকালে একটি অটোরিক্সা ভাড়া করে নওগাঁ শহরের দূর্গাপুর, দয়ালের মোড়, মাস্টারপাড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু পয়েন্টে পৌঁছে যায় আঠারোর কিছু দুঃসাহসিক তরুণ। অটোরিক্সার গায়ে একটি ব্যানার যাতে লেখা, “এই সাইরেন ভয় পাবার নয়, একত্রিত হবার”।

নির্দেশনা মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে আশিক, অর্ণা, অন্তর, জিত, হুমাইরা, তন্দ্রা, লামিয়া, বাঁধন, সৌরভ, তন্দ্রা, উৎস, রিউ জান্নাতুল, সৌরভ, প্রীনন, সোহান, মাইশা তাদের পুঁটলি করা খাবারগুলো পৌঁছে দেয় আর্ত-মানবতার সেবায়। “আঠারো” র বেশির ভাগ সদস্যই বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী। দেশের এই সংকটময় লকডাউনে তারা নিজ শহরে অবস্থান গ্রহণ করে মেহনতি মানুষদের সাহায্যার্থে তাদের মূল্যবান সময় উৎসর্গ করতে চায়।

নিজেদের ফান্ড আর চারপাশ থেকে অল্প কিছু সহায়তায় মাত্র ১৩৫০০ টাকার ফান্ড দিয়ে মোট ৬০ জন দরিদ্রকে তারা এবার খাদ্যসামগ্রী দিতে পেরেছে। আঠারোর সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান বলেন, “তহবিলে আরো আর্থিক সহায়তা আসলে আমরা মানুষের জন্য আরো কাজ করতে চাই। সহায়-সম্বলহীন মানুষের জন্য এই সংকটে আঠারো পাশে থাকতে চায়।”

সাদিয়া সূচনা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here